সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (১২ মে) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাজিরুর রহমান।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা ও আত্মহত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এসআই এস এম এলিস মাহমুদ বাদী হয়ে ১১ মে মামলার এজাহার দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বসয়সীমা ৩৫ চাই এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আসামিরা সভা ও মিছিল, মিটিং করে। এ দিন তারা টিএসসি থেকে শাহবাগ মোড় ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন, জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানিসহ আত্মহত্যার স্লোগান ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মিছিল নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসে। পুলিশ তাদের নিবৃত করতে সড়কে লোহার ব্যারিকেড দেয়।
আন্দোলনকারীদের এসময় রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শুনে ব্যারিকেড ভেঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান করে এবং রাস্তার ওপর বসে যান চলাচলে বন্ধ করে দেয়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা আটকা পড়ে আর্তনাদ করতে থাকে।
এজাহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে আন্দোলনকারী একটি বাসে ভাঙচুর করে এবং তাদের কাছে থাকা জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানি দিয়ে আগুন ধরিয়ে উসকানিমূলক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। হ্যান্ড মাইক ও মৌখিকভাবে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা রাস্তা না ছেড়ে ডিউটিরত পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
মামলায় আসামিরা হলেন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন রশিদ রতন, মো. রাসেল, হুমায়ন কবির, মানিক দাস, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার দৃষ্টি, ফাতেমা আক্তার সানজিদা, শরীফুল হাসান শুভ ও খোকনসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।