• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

ফলন ভালো হওয়ায় লিচু চাষে ঝুকছে নাজিরপুরের কৃষক

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
ছবি :সংগৃহীহ

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লিচু চাষ। গত দুই দশকে বসতবাড়ি থেকে ক্ষেতের জমি-বেশিভাগ কৃষক নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন লিচুর ওপর।

এ দিকে, মাটি উর্বর হওয়ায় ফলনও খুব ভালো। বিশেষ করে উপজেলার তারাবুনিয়া ও গিলাতলা গ্রামের লিচুর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। ফসলি জমিতে ধানের পরিবর্তে লিচু আবাদ করছেন কৃষকেরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতনির লক্ষ্যে আবাদ করা এসব লিচুর গুণগত মানও অনেক ভালো।

নাজিরপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের দুই সহোদর হংসপতি মিস্ত্রি ও হিমাংশু মিস্ত্রি ২০০৭ সালে তাদের পাঁচ একর জমিতে চায়না থ্রি ও মোজাফফরপুরী জাতের লিচু বাগান করেন। প্রথম বছরই সাফল্য পান তারা। তাদের দেখে এলাকার অনেক কৃষক ধানের আবাদ বাদ দিয়ে লিচু বাগান করেছেন।

সম্প্রতি দেখা গেছে, এখন শুধু তারাবুনিয়া নয়, উপজেলার অনেক গ্রামে এখন পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে লিচুর ওপর। নাজিরপুরে প্রায় অর্ধশত কৃষক আবাদ করেছেন চায়না থ্রি ও মোজাফফর পুরী জাতের লিচু।

লিচু চাষে সফল হংসপতি মিস্ত্রি বলেন, বছর বছর লিচু ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর লিচুর ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচু অনেকটা ঝড়ে পড়েছে। তাছাড়া অনা বৃষ্টির কারণে আকারে অনেকটা ছোট হয়েছে।

স্থানীয় লিচু চাষিরা জানায়, রাসয়নিক মুক্ত এবং জৈব পদ্ধতিতে লিচু চাষ করায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ও জেলার ব্যবসায়ীরা আসেন লিচু কিনতে। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে লিচু তেমন বড় হয়নি। বৃষ্টি না থাকার কারণে ফল ঝড়ে যাচ্ছে এবং ফুল কম ফুটছে। ফলের আকার ছোট হয়েছে। এখান থেকে কিনে ভালো দামে বিভিন্ন এলাকায় লিচু বিক্রি করছেন পাইকাররা।

নাজিরপুরের মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের উপোযোগী হওয়ায় আগামীতে এ অঞ্চলে লিচু বাগান আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে লিচু বাগানে দেখা গেছে, লিচু আহরণ, বাছাই এবং প্যাকেট করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় লিচু ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদার বলেন, এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এখান থেকে লিচু কিনে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
কারণ যাতায়াত খরচ কম লাগে।

পিরোজপুর জেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি সময়ে চাষিদের মাঝে লিচু চাষের প্রবনতা দেখা গেছে। এই মাঠিতে লিচু সম্প্রসারণ করা যায় সেই বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। চিন্তা ভাবনা রয়েছে এটির বৃদ্ধি করার। জেলার তিন উপজেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বদা লিচু চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, টানা তাপপ্রবাহে বেশ কিছু সংখ্যক লিচুর গুটি ঝড়ে পড়েছে, বড় অবস্থায়ও লিচু ঝড়ে পড়েছে। অনা বৃষ্টির কারণে লিচু আকারও ছোট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ