প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল কবলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ উপকূলীয় এলাকা এখনও মোবাইল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল কবলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ উপকূলীয় এলাকা এখনও মোবাইল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে। রোববার রাত থেকেই ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এতে প্রায় ১২ হাজারের বেশি টাওয়ার থেকে নেটওয়ার্ক ব্যাহত হচ্ছে বলে অপারেটরগুলো জানিয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মোবাইল অপারেটর রবি দাবি করেছে, তাদের কয়েকটি সাইট (টাওয়ার) অচল হলেও সেগুলো আবার চালু হয়েছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি, সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। এরই মধ্যে একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও কন্ট্রোল রুম গঠন করা হয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা দ্রুত সংযোগের আওতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
সোমবার (২৭ মে) সকালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার দরুণ মোবাইল অপারেটরদের সাইট সমূহ হতে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। এতে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও তাদের সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে জনসাধারণের সাথে টেলিযোগাযোগ সম্ভব হবে না।
আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশের ৪৫ জেলার সব মোবাইল অপারেটরদের ৮ হাজার ৪১০ সাইটে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অসচল হয়ে পড়েছে। এসকল সাইটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎসংযোগ পুনঃস্থাপন করা অতি জরুরি।
এমতাবস্থায়, দুর্যোগ চলাকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিতকরণে উপকূলীয় জেলা সমূহসহ সংশ্লিষ্ট সব জেলাসমূহে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিতকরণসহ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমাল রোববার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এরপর উপকূল থেকে শুরু করে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়। এখনও তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মহাবিপৎসংকেত কমে আসলেও উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেশ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।