৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে যেতে পারেনি দলটির নেতাকর্মীরা। তবে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ চালুর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে বিএনপি। এর আগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঘোষিত কর্মসূচিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শেরে বাংলা নগরে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার কথা ছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকারের ইচ্ছায় সেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপি প্রধান ও নেতাকর্মীদের যেতে দেয়া হয়নি। তাই পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় দিবসের এই প্রধান কর্মসূচিটি পালন করতে পারেনি তারা। পরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে দলীয় পতাকা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সকাল সাড়ে ১০টায় নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ের নিচ তলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে। ক্যাম্পে চিকিৎসকরা সারাদিন রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশেই বিভিন্ন পোস্টার করেছে নেতাকর্মীরা। নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার উদ্যোগে সামরিক পোশাক পরিহিত জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বলিত দুটি বিশাল ডিজিটাল ব্যানার টাঙানো হয়েছে। বিভিন্ন পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ঘটনা এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চারনেতা হত্যাকান্ডের ঘটনার ধারাবাহিকতায় ওই দিনই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তার অনুসারী সেনা সদস্যদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন। আত্মস্বীকৃত পদোন্নতি নিয়ে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, মেজর জেনারেলের ব্যাজ ধারণ এবং সেনাপ্রধানের পদ দখল করেন। ৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বঙ্গভবনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদকে গ্রেফতার করেন। কথিত মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন। একই দিনে তিনি প্রধান বিচারপতি আবু সা’দাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে এনে বসান। এভাবে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা ও ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কেটে যায় চারদিন। এক পর্যায়ে ৬ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহীগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন আপামর জনতা রাজপথে নেমে আসেন। সিপাহী-জনতার মিলিত সেই বিপ্লবে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ ও তার কতিপয় অনুসারী। পরদিন ৭ নভেম্বর সর্বস্তরের সৈনিক ও জনতা সম্মিলিতভাবে নেমে আসে ঢাকার রাস্তায়, ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির সৃষ্টি হয় দেশের রাজনীতিতে। তারপর থেকেই ৭ নভেম্বর পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের জোটশরিক জাসদ এই দিনটিকে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে পালন করে। আওয়ামী লীগ পালন করে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে। এবার দিনটি উপলক্ষে দলের এক যৌথ সভার পর ৫ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে গতকাল বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন। এদিকে নেছারাবাদে ছাত্রলীগে আর পুলিশের বাধার মুখেও বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে উপজেলা, পৌর বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠন। তবে এসময় হামলায় বিএনপির দুই ছাত্রনেতা আহত হয়েছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
এ. কে নাছিম খান, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কিশোরগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দুপুর ১২টায় জেলা শহরের বত্রিশ এলাকায় একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিররুজ্জামান, নিজাম উদ্দিন খান নয়ন ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাঈল মিয়া, নাজমুল আলম ও আমিনুল ইসলাম আশফাক, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ বাহার মিয়া এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খসরুজ্জামান জি.এস শরীফ। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম তাঁর বক্তৃতায় লিখিত আবেদনের পরও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের জন্য আবেদন করা দুটি স্থানে প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানান। আলোচনা শেষে শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও দেশের উন্নয়ন কামনা করে কোরান তেলাওয়াত এবং দোয়া পরিচালনা করা হয়।
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে জানান, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে দলের সদ্য কারামুক্ত জেলা ভি.পি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাড: এ,কে,এম মাহবুবর রহমান, জয়নাল আবেদীন চাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শোকরানা, লাভলী রহমান, ডা: এম, এইচ আলমগীর পাভেল, এ্যাড: শেখ মোখলেছুর রহমান, সাংবাদিক মীর্জা সেলিম রেজা। সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভিপি সাইফুল বলেন, ৭১’ এর মতোই ৭৫ এর ৭ই নভেম্বর দেশের ক্রান্তিলগ্নে ত্রাতার বেশে আবির্ভাব ঘটেছিল জিয়ার। তিনি বলেন, আজকে তাই সবাইকে ৭ই নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। শহীদ জিয়াকে চিনতে হবে এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে স্বৈরাচার উৎখাতে নামতে হবে রাজপথে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া বিএনপির সিনিয়র নেতা ফজলুল বারী বেলাল, টাইগার আব্দুর রহমান, মোস্তফা আলী মুকুল, এম, আর ইসলাম স্বাধীন, এ্যাড: আব্দুল বাছেদ, শ্রী পরিমল চন্দ্র , এ,কে,এম তৌহিদুল আলম মামুন, খায়রুল বাশার, মেহেদী হাসান হিমু, কৃষক নেতা সভাপতি আলহাজ্ব আকরাম হোসেন প্রমুখ।
রেজাউল করিম রাজু, রাজশাহী থেকে জানান, দিনভর নানা কর্মসুচির মধ্যদিয়ে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করলো মহানগর বিএনপি। এ উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নগরীর ভ‚বনমোহন পার্কে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আলোচনা সভা, রক্তদান কর্মসূচি, আলোকচিত্র প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও এমপি মোঃ মিজানুর রহমান মিনু। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। কর্মসূচিগুলো পরিচলনা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শফিকুল হক মিলন। আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুনাহার কাজী হেনা। বোয়ালিয়া থানা বি.এন.পির সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান পিন্টু, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসলাম সরকার, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ আনসার আলী, শাহমুখদম থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান শরীফ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজদ সুইট, রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমনসহ রাজশাহী মহানগর বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আদম আলী, চট্টগ্রাম থেকে জানান, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক সাতই নভেম্বর তথা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহ বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে ছিল নগরীর ষোলশহর মোড়ে বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও র্যালি। মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিপ্লব উদ্যানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, মাহবুবুল আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, প্রিন্সিপাল নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুচ সাত্তার সরওয়ার প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে বিপ্লব উদ্যানে এক আলোচনা সভা কোতোয়ালী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে নগর যুবদল নেতা ও বায়েজিদ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এরশাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আবদুল হাই। বক্তব্য রাখেন নগর যুবদল নেতা মোঃ রাসেল নিজাম, মোঃ মান্নান, মোঃ খোকন, মোঃ মোশাররফ প্রমুখ।
মোঃ হাবিবুল্লাহ, নেছারাবাদ (পিরোজপুর) থেকে জানান, নেছারাবাদে ছাত্রলীগে আর পুলিশের বাধার বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে উপজেলা,পৌর বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠন। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে জগন্নাথকাঠি দক্ষিনপাড় বন্দরে বিএনপির কয়েক‘শ নেতা-কর্মীরা সমাবেশ করতে জড়ো হয়। এর পূর্বে উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ দলের অঙ্গসংগঠনের আয়োজিত র্যালি ও আলোচনা সভায় যোগ দিতে উপজেলা চত্ত¡র থেকে যুবনেতা মো. মইনুল হাসান এবং স্বরূপকাঠি পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের এর নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে সেখানে জড়ো হয়। সেখানে উপজেলা ছাত্রলীগের একটি ঝাটিকা মিছিল এসে পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালায়। এতে মোঃ আবির খান নামে এক ছাত্রনেতা আহত হয়। পরে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ বক্তব্য দিতে থাকেন। এসময় একদল পুলিশ এসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। এতে মো. জিয়াউল হাসান নামে আরো এক ছাত্রনেতা আহত হয়। বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলার এঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন।
নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে জানান, ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের করা হয়। গতকাল সকাল ১০টায় ফরিদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে ফরিদপুর কোর্ট চত্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদ পারভেজ, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন মৃধা, বিএনপির অন্যতম নেতা ফাত্তাউল ইসলাম ফাত্তা, শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ প্রমুখ।
মো.শরীফুল ইসলাম, সখিপুর (টাঙ্গাইল) থেকে জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুরে গতকাল মঙ্গলবার পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন,শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, বর্ণাঢ্য র্যালি, কাঙ্গালীভোজ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। র্যালিটি সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সৌখিন হল রোডে হক নেতার বাসায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সখিপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান সাজু। সখিপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি নাজিম উদ্দিন মাষ্টারের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি সম্পাদক নাসির উদ্দিন, পৌর বিএনপি সম্পাদক মীর আবুল হাশেম আজাদ, আ.হক আল আজাদ, আসাদুজ্জামান বাবুল, এম ও গনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিকদার ছবুর রেজা, উপজেলা যুবদল সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।
মোঃ আবুল হাসেম, বরুড়া (কুমিল্লা) থেকে জানান, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল বরুড়া দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ রেজাউল হক রেজুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ জহিরুল হক স্বপন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাংবদিক আবুল হাসেম, বিএনপি নেতা আবদুর রব, কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা মিয়াজী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন।
ফারুক মল্লিক, মেহেরপুর থেকে জানান, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস গতকাল উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মেহেরপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, আনছারুল হক, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ।
মোঃ আজিজুল হক টুকু, নাটোর থেকে জানান, নাটোরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে গতকাল সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সেখানে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভার। নাটোর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম আফতাব ও সাবেক চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন শাহ।
এমদাদুল হক সুমন, নওগাঁ থেকে জানান, নওগাঁয় জেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হযেছে। গতকাল সকালে শহরের কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয় জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র নজমুল হক সনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, যুগ্ম সম্পাদক সহিদুল ইসলাম টুকু ও যুগ্ম সম্পাদক ও ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস শুকুর, জেলা মহিলা দলের সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শবনম মোস্তারী কলি প্রমুখ।
তরিকুল ইসলাম নয়ন, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে জানান, ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র উদ্দ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই আলোাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ,সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু জাফর প্রমুখ।
এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা থেকে জানান, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল বিকালে ছোট বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডাঃ আনোয়ারুল হকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন খান মিল্কী, বজলুর রহমান পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর থেকে জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে মাদারীপুর পুরান বাজার মেলবোর্ন প্লালায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিকেলে এক আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ জামিনুর হোসেন মিঠুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম লিটু, মাদারীপুর সদর থানা সভাপতি এ্যাডঃ জাফর আলী মিয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ শরীফ সাইফুল কবির, এ্যাডঃ গোলজার আহমেদ চিশতি, জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মমিনুল ইসলাম মুন,তানোর (রাজশাহী) থেকে জানান, রাজশাহীর তানোরে মুন্ডুমালা পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি পালন করা হয়েছে। চলতি বছরের ৭ নভেম্বর মুন্ডুমালা পৌর সদরের মেসার্স শাহীন ফিলিং স্টেশন চত্ত¡রে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শেখ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদের আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ এরাজ উদ্দিন, আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, হাজী রহমত আলী, রবিউল ইসলাম, আবু সাঈদ, মাওঃ জানে আলম, জামাল উদ্দীন তাজিমুল হক, জামিল সরদার,সরনজাই ইউপি ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুবদল নেতা আইনাল. মনিরুল ইসলাম,জিয়াউর রহমান জিয়া ও মাতিয়াস মারডি প্রমুখ।