শিশু পার্ককে ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ প্রকল্পের আওতায় রেখে ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ শীর্ষক তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি তা অনুমোদন করেছেন। গণভবনে বুধবার এই মহাপরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, শেখ হাসিনা ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ শীর্ষক তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সামনে পাওয়ার পয়েন্টে এই মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হলে তিনি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে তা দেখেন এবং কিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।” এর আগে ২০১৫ সালের ২০ জুন জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতি বিজড়িত পাকিস্তানি হানাদারদের আত্মসমর্পণের স্থানটি সরকারিভাবে সংরক্ষণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এছাড়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্থানটি সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন, “স্থান দুটি বর্তমানে বিদ্যমান শিশু পার্কের অভ্যন্তরে। শিশু পার্ক এলাকাটি ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ প্রকল্পের সাথে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঐতিহাসিক স্থান দুটি সংরক্ষণ, শিশু পার্ক এলাকা দৃষ্টি নন্দন, ল্যান্ড স্কেপিংপূর্বক একীভূতকরণের লক্ষ্যে তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির এবং উপ-প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সামনে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেন।
এ প্রসঙ্গে কাজী গোলাম নাসির বলেন, “আমরা যা করছি; তা প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে নিয়ে এসেছি। এখানে শিশু পার্কের ভেতরে দুটি জায়গা চিহ্নিত হবে। একটা… যেখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়েছিল; আরেকটা হচ্ছে যেখানে পাকিস্তানী বাহিনী স্যারেন্ডার করেছিল।”
স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাকিস্তানি হানাদারদের আত্মসমর্পণের এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্থান দুটিতে স্মারক হবে।
“শিশু পার্কের এখনকার এন্ট্রিটা থাকবে না। স্বাধীনতা স্তম্ভ, শিখা চিরন্তন এবং শিশু পার্কের এন্ট্রি এক পয়েন্টে হবে। ঢুকলেই প্রথমে স্বাধীনতা স্তম্ভ চোখে পড়বে। তারপর যে যেদিকে যেতে চায়; সেদিকে চলে যাবে।”
গণভবনে বুধবারের এই অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিতি ছিলেন।