সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি এখনও না পেলেও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি; দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেখানে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার নয়া পল্টনে এক সংবাদ ব্রিফিয়ে ফখরুল বলেন, “সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশটি আমরা করতে চাই। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১২ নবেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি তারা এখনও পাননি। তবে ‘যথাসময়ে’ সেই অনুমোদন পেয়ে যাবেন বলে আশা করছেন।
বিএনপি তাদের ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবসের কর্মসূচি হিসেবে বুধবার সমাবেশের অনুমতি চাইলেও কমনওয়েথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন চলায় তা পিছিয়ে ১২ তারিখের জন্য নতুন আবেদন করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ওই সমাবেশ ‘সফল করতে’ বুধবার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকার পাশের জেলা নেতাদের নিয়ে এক যৌথ সভার পর এই ব্রিফিংয়ে আসেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “৭ নবেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমরা ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। কারণ কমনওয়েথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের কথা বলে আমাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা আশা করব, এই সমাবেশের অনুমতি যথা সময়ে দেবেন।”
আর তাতে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তারা (সরকার) সব সময়ই বলে থাকেন যে, তারা কোনো বাধা দেন না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, মানুষের ও রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করেন।
“গতকালও তাদের (ক্ষমতাসীন দল) একজন নেতা বলেছেন, যে তারা বাধা দেননি এবং এই ধরনের সমাবেশে কোনো বাধা নেই। আমরা আশা করব, তাদের এই কথাগুলো সত্য প্রমাণিত হবে।”
অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলার হাজী আবু আশফাক, মুন্সিগঞ্জের আবদুল হাই, কামরুজ্জামান রতন, টাঙ্গাইলের শামসুল আলম তোহা, মানিকগঞ্জের মইনুল ইসলাম শান্ত, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, হাসানউদ্দিন সরকার, নরসিংদীর খায়রুল কবীর খোকন, নেসারউদ্দিন সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।