২৩ শর্তে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।
রোববারের ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শনিবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর পুলিশের সম্মতিপত্র পাওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের যে গণসমাবেশ, এই গণসমাবেশের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এই মাত্র ডিএমপি‘র একটি সম্মতিপত্র আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। ২৩টি শর্ত দিয়ে তারা আমাদের এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের সম্মতি দিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফুজ্জামানের স্বাক্ষরে এই পত্র বিএনপির কাছে পাঠানো হয়।
সমাবেশের শর্তে যা যা আছে
# বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।
# ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসে’ এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেয়া বা প্রচার করা যাবে না।
# লাঠিসোটা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
# মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসা যাবে না।
# উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য দেয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
# ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ আইনশৃংখলা পরিপন্থি বা জননিরাপত্তাবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।
# সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন স্থানে অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্য্ক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
# সমাবেশের নির্ধারিত সময়ের আগে উদ্যান বা তার আশপাশের রাস্তা-ফুটপাটে সমবেত হওয়া যাবে না।
# যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়- এমন কিছু করা যাবে না।
# নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান স্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
# নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
# অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না।