বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার পথচলা এবার একদমই মসৃণ ছিল না। শেষ ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিকে ইকুয়েডরকে হারিয়ে রাশিয়ার টিকিট কাটে দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বাছাইপর্বের বৈতরণী পেরিয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বের শুরুতেও হোঁচট খেতে বসেছিল আর্জেন্টিনা।
শেষ পর্যন্ত লাতিন পরাশক্তিদের মান বাঁচালেন সের্গিও আগুয়েরো।
শনিবার মস্কোয় প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।
২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির বিপক্ষে অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা মিলছিল না।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আগুয়েরোর গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে হোর্হে সাম্পাওলির দল।
ম্যাচের ২১ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার নিচু শট রুশ গোলকিপার আকিনফিভ ঠেকানোর পর ফিরতি বল পান আগুয়েরো। কিন্তু দুরূহ কোণ থেকে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার।
পাঁচ মিনিট পর আগুয়েরোর আরেকটি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান আকিনফিভ।
৩৬ মিনিটে মেসির দারুণ চিপ শট ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়েছিলেন ডি মারিয়া, কিন্তু বলে মাথা লাগাতেই পারেননি পিএসজির এই মিডফিল্ডার।
বিরতির ঠিক আগে সহজতম সুযোগটি হারান আগুয়েরো। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে তার ভলি কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন আকিনফিভ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আগুয়েরোর পাস ধরে এগিয়ে গোলকিপার মাথার ওপর দিয়ে চিপ করেন মেসি। কিন্তু বলে একেবারেই গতি ছিল না, গোলমুখ থেকে হেডে ফেরান এক ডিফেন্ডার।
৫৮ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে রুশ মিডফিল্ডার দিনিস গুশাকোভের জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।
৮৬ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা মেলে। ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার পাস পেয়ে আগুয়েরোর নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন এক ডিফেন্ডার। তবে ফিরতি হেডে লক্ষ্যভেদ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ম্যানসিটির সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০১৬ সালের জুনের পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটাই আগুয়েরোর প্রথম গোল।
আগামী মঙ্গলবার রাশিয়ার ক্রান্সনোদারে নাইজেরিয়ার সঙ্গে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। একই দিনে সেন্ট পিটার্সবার্গে স্পেনের মুখোমুখি হবে রাশিয়া। ওয়েবসাইট।