বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন জেলার সাপে কাটা রোগীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
তবে চিকিৎসকরা বলছে, হাসপাতালে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আহত রোগী না পাওয়া গেলেও অধিকাংশরাই বিষধর সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ভবনের চারটি ওয়ার্ডে ১২টি ইউনিট নিয়ে মেডিসিন বিভাগ। এদের মধ্যে তিনটি মহিলা ওয়ার্ড ও তিনটি পুরুষ ওয়ার্ড। প্রায় প্রতিদিনই এসব ওয়ার্ডে সাপে কাটা রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
শনিবার (৬ জুলাই) হাসপাতালে নতুন ভবনে ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডের দুইজন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়েছে। সাপের কামড়ে আহতরা হলেন- মাদারীপুর শিবচর দত্তপাড়া এলাকার লোকমান খান (৫৩) ও ফরিদপুর সদরপুর কারালকান্দি গ্রামের নুর ইসলাম (২২)।
৬০২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বগত চিকিৎসক ডা. ইফতেখার রহমান জানান, এখন বর্ষার মৌসুম পাশাপাশি বন্যা দেখা দিয়েছে কয়েক জেলায়। এইসব কারণে সাপ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন ডাঙ্গায় উঠে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তখনই মানুষজনকে কামড় দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। যে কারণে সাপে কাটার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখনও রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আহত রোগীর আমাদের ওয়ার্ডে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, যে দুজন রোগী আজ ভর্তি হয়েছে তাদের বিষধর সাপ কামড় দিয়েছে এটা নিশ্চিত। তাদের ক্ষতস্থানে দুটি দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। এদের মধ্যে মোটামুটি গুরুতর লোকমান। হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম রয়েছে। তাদের অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। আশা করি সুস্থ হয়ে যাবে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাপের কামড়ে আহত রোগীরা হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম আছে। পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের অ্যান্টিভেনম দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে কোনো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।