এস কে কামরুল হাসান সাতক্ষীরা প্রতিনিধি॥ জেলখানা থেকে বের হওয়ার দু’ ঘণ্টা পার না হতেই প্রতিপক্ষের একটি দোকান ঘরে নগদ টাকাসহ দু’লক্ষাধিক লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে পাঁচটি দোকানঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি ঔষধের দোকানে। লুট করা মাল নিয়ে যেতে ও ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল কালিবাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীনরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে শাহীনুরসরদার (৪৮) ও নজরুল ইসলাম সরদারের ছেলে তানভির সরদার (২৫)। আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শাহীনুর সরদারজানান, ২০০৯ সালের ২০ আগষ্ট রেজিষ্ট্রি দলিল মুলে চম্পাফুল গ্রামের হিমনাথ ম-লের কাছ থেকে তিনিসহ তার তিন ভাই চম্পাফুল মৗজায় ডিপি ৪৪১ খতিয়ানের ৩৩ ও ৩৪ দাগে এক একর ৫৮ শতকের মধ্যে সোয়া ১০ শতক জমি কেনেন। ওই জমিতে সনাক্তকারি হিসেবে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকগাইন ও সাক্ষী হিসেবে হিমনাথ ম-লের ছেলে পরিতোষ ম-ল সাক্ষর করেন। নকশা অনুযায়ি ওই জমির মধ্যে কালিবাড়ি বাজারে কালিবাড়ি থেকে উজিরপুরগামী দু’শতক জমি রয়েছে। যাতে তাদের পাঁচটি দোকান ঘর রয়েছে। তিনি আরো জানান, বাবা হিমনাথ ম-লের মৃত্যুর পর ছেলে পরিতোষ ম-লের কাছ থেকে চলতি বছরের পহেলা মার্চ চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের ছেলে আশীকুল গাইন, আরিফুল গাইন, ইউপি সদস্য আব্দুল কায়ুম ও গ্রাম ডাঃ আশোকরায় একই দাগে দু’ শতক জমি কেনেন। বন্টননামা না থাকায় চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন ও ইউপি সদস্য আব্দুল কায়ুম তাদের দোকান ঘর থাকা দু’শতক জমি জবর দখল করার চেষ্টা কওে আসছিলেন। এক পর্যায়ে গত ২৭ এপ্রিল তার ভাই রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী মিস-৩৭/১৭নং মামলা (আমানত) করেন। সম্প্রতি তারা একটি দোকান ঘর
সংস্কার করে তাতে ভাইপো তানভির হোসেন চাল, কুড়া ও তুষের ব্যবসা করে আসছিলো। অন্য চারটি দোকান ঘর সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়।তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০ টাকা চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজম্মেল হক, ইউপি সদস্য আব্দুল কায়ুমসহ আট জন জনপ্রতিনিধি দু’দকের দায়েরকৃত মামলায় গত ২৬ অক্টোবর জেল হাজতে যান। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জেলখানা থেকে তারা জামিনে মুক্তি পান। জেলগেট থেকে দু’শতাধিক মোটর সাইকেলের একটি বহর নিয়ে ওইসব জনপ্রতিনিধিরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন। আনুমানিক রাত সাড়ে সাতটার দিকে ওই মোটর সাইকেল বহরটি কালিবাড়ি বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান মোজামের নির্দেশে আশিকুল গাইন, আরিফুল গাইন, আব্দুল কাউয়ুম, মোনায়েম হোসেন ওকবীর হোসেনসহ ৫০/৬০ জন তার ভাইপো তানভির হোসেনের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় তারা দোকানে থাকা ৫০ বস্তা চাল, ৪৮ বস্তা চালের কুড়ো, ১০০ বস্তা ধানের তুষ ও ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা লুট করে । লুট হওয়া মালের দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা। লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তানভিরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এর পরপরই হামলাকারিরা অন্য চারটি দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে গোল পাতার চাল, বাঁশের খুটিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের একাংশ পার্শ্ববর্তী আমবাগানে ফেলে দেয়। তানভিরের দোকনের টিনের চাল দুমড়ে মুচড়ে কালিবাড়ি বাজারে গুতিয়াখালি খালের উপর নির্মিত কালভার্টের নীচে পানিতে ভেঙে ফেলে দেয়। তিনি আরো জানান, তানভিরের দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্র লুট করে ভ্যানযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় দীঘির ধারে আটক করেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওইসব হামলাকারিরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাবলা ফার্মেষীতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। লুটের মাল বহনকারি ভ্যান যেতে ও ফার্মের্ষীতে লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তাকেসহ ভাই নজরুল ইসলাম ও মিনহ্বাজকে পিটিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারিদের ভয়ে তাকে ও তানভিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে কালিবাড়ি ও উজিরপুর এলাকায় গেলে ব্যবসায়ি ব্যবসায়ি শহীদুল ইসলাম, সোহারাব হোসেনসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী কালিবাড়ি বাজারে চেয়ারম্যান মোজাম বাহিনীর তা-বের কথা তুলে ধরে বলেন, তাদের নাম সংবাদ মাধ্যমে এলে ধড়ে মু-ু থাকবে না। কালভার্টের নীচে তানভীরের ঘরের টিনের চাল ও সোমবার রাতে তানভীরসহ তার চাচাদের মালিকানাধীন দোকান ভাঙচুরের পর পাশে ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রী দেখিয়ে তারা বলেন, মোজাম্মেল হক গাইন এক ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করে এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বনে গেছেন। তাই নব্য আওয়ামী লীগারের নেতৃত্বে
এসব হামলার প্রতিকার পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ঘুষুড়ে গ্রামের কাঁকড়া ব্যবসায়ি সামছুর রহমান জানান, প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের দল করায় যে কোন সময় শোডাউনের নামে মোজাম্মেল হকের লোকজন তার নির্মাণাধীন
দোকান ঘর ভেঙে দেওয়া হুমকি দিয়েছেন। একইভাবে আতঙ্কে রয়েছেন মোজাম বিরোধী ব্যবসায়ি ও সাধারণ মানুষ।
আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সুমন কুমার ঘোষ জানান, শাহীনুর রহমান ও তানভিরের মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করার ফলে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ ছাড়া তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউপি’র সদ্য কারামুক্ত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন হামলা, ভাঙচুর লুটপটের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন স্থানীয় এক হিন্দুর জমি দখল করে টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে জবর দখল করে রেখেছিল। সোমবার স্থানীয়
লোকজন তা অপসারন করে জায়গা খালি করে দিয়েছে। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবীর দত্ত জানান, খবর পেয়ে
উপ-পরিদর্শক হেকমত আলীকে সোমবার রাত ৯টার দিকে কালিবাড়ি বাজারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এস কে কামরুল হাসান সাতক্ষীরা প্রতিনিধি॥ জেলখানা থেকে বের হওয়ার দু’ ঘণ্টা পার না হতেই প্রতিপক্ষের একটি দোকান ঘরে নগদ টাকাসহ দু’লক্ষাধিক লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে পাঁচটি দোকানঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি ঔষধের দোকানে। লুট করা মাল নিয়ে যেতে ও ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল কালিবাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীনরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে শাহীনুরসরদার (৪৮) ও নজরুল ইসলাম সরদারের ছেলে তানভির সরদার (২৫)। আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শাহীনুর সরদারজানান, ২০০৯ সালের ২০ আগষ্ট রেজিষ্ট্রি দলিল মুলে চম্পাফুল গ্রামের হিমনাথ ম-লের কাছ থেকে তিনিসহ তার তিন ভাই চম্পাফুল মৗজায় ডিপি ৪৪১ খতিয়ানের ৩৩ ও ৩৪ দাগে এক একর ৫৮ শতকের মধ্যে সোয়া ১০ শতক জমি কেনেন। ওই জমিতে সনাক্তকারি হিসেবে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকগাইন ও সাক্ষী হিসেবে হিমনাথ ম-লের ছেলে পরিতোষ ম-ল সাক্ষর করেন। নকশা অনুযায়ি ওই জমির মধ্যে কালিবাড়ি বাজারে কালিবাড়ি থেকে উজিরপুরগামী দু’শতক জমি রয়েছে। যাতে তাদের পাঁচটি দোকান ঘর রয়েছে। তিনি আরো জানান, বাবা হিমনাথ ম-লের মৃত্যুর পর ছেলে পরিতোষ ম-লের কাছ থেকে চলতি বছরের পহেলা মার্চ চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের ছেলে আশীকুল গাইন, আরিফুল গাইন, ইউপি সদস্য আব্দুল কায়ুম ও গ্রাম ডাঃ আশোকরায় একই দাগে দু’ শতক জমি কেনেন। বন্টননামা না থাকায় চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন ও ইউপি সদস্য আব্দুল কায়ুম তাদের দোকান ঘর থাকা দু’শতক জমি জবর দখল করার চেষ্টা কওে আসছিলেন। এক পর্যায়ে গত ২৭ এপ্রিল তার ভাই রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী মিস-৩৭/১৭নং মামলা (আমানত) করেন। সম্প্রতি তারা একটি দোকান ঘর
সংস্কার করে তাতে ভাইপো তানভির হোসেন চাল, কুড়া ও তুষের ব্যবসা করে আসছিলো। অন্য চারটি দোকান ঘর সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়।তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০ টাকা চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজম্মেল হক, ইউপি সদস্য আব্দুল কায়ুমসহ আট জন জনপ্রতিনিধি দু’দকের দায়েরকৃত মামলায় গত ২৬ অক্টোবর জেল হাজতে যান। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জেলখানা থেকে তারা জামিনে মুক্তি পান। জেলগেট থেকে দু’শতাধিক মোটর সাইকেলের একটি বহর নিয়ে ওইসব জনপ্রতিনিধিরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন। আনুমানিক রাত সাড়ে সাতটার দিকে ওই মোটর সাইকেল বহরটি কালিবাড়ি বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান মোজামের নির্দেশে আশিকুল গাইন, আরিফুল গাইন, আব্দুল কাউয়ুম, মোনায়েম হোসেন ওকবীর হোসেনসহ ৫০/৬০ জন তার ভাইপো তানভির হোসেনের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় তারা দোকানে থাকা ৫০ বস্তা চাল, ৪৮ বস্তা চালের কুড়ো, ১০০ বস্তা ধানের তুষ ও ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা লুট করে । লুট হওয়া মালের দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা। লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তানভিরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এর পরপরই হামলাকারিরা অন্য চারটি দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে গোল পাতার চাল, বাঁশের খুটিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের একাংশ পার্শ্ববর্তী আমবাগানে ফেলে দেয়। তানভিরের দোকনের টিনের চাল দুমড়ে মুচড়ে কালিবাড়ি বাজারে গুতিয়াখালি খালের উপর নির্মিত কালভার্টের নীচে পানিতে ভেঙে ফেলে দেয়। তিনি আরো জানান, তানভিরের দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্র লুট করে ভ্যানযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় দীঘির ধারে আটক করেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওইসব হামলাকারিরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাবলা ফার্মেষীতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। লুটের মাল বহনকারি ভ্যান যেতে ও ফার্মের্ষীতে লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তাকেসহ ভাই নজরুল ইসলাম ও মিনহ্বাজকে পিটিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারিদের ভয়ে তাকে ও তানভিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে কালিবাড়ি ও উজিরপুর এলাকায় গেলে ব্যবসায়ি ব্যবসায়ি শহীদুল ইসলাম, সোহারাব হোসেনসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী কালিবাড়ি বাজারে চেয়ারম্যান মোজাম বাহিনীর তা-বের কথা তুলে ধরে বলেন, তাদের নাম সংবাদ মাধ্যমে এলে ধড়ে মু-ু থাকবে না। কালভার্টের নীচে তানভীরের ঘরের টিনের চাল ও সোমবার রাতে তানভীরসহ তার চাচাদের মালিকানাধীন দোকান ভাঙচুরের পর পাশে ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রী দেখিয়ে তারা বলেন, মোজাম্মেল হক গাইন এক ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করে এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বনে গেছেন। তাই নব্য আওয়ামী লীগারের নেতৃত্বে
এসব হামলার প্রতিকার পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ঘুষুড়ে গ্রামের কাঁকড়া ব্যবসায়ি সামছুর রহমান জানান, প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের দল করায় যে কোন সময় শোডাউনের নামে মোজাম্মেল হকের লোকজন তার নির্মাণাধীন
দোকান ঘর ভেঙে দেওয়া হুমকি দিয়েছেন। একইভাবে আতঙ্কে রয়েছেন মোজাম বিরোধী ব্যবসায়ি ও সাধারণ মানুষ।
আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সুমন কুমার ঘোষ জানান, শাহীনুর রহমান ও তানভিরের মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করার ফলে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ ছাড়া তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউপি’র সদ্য কারামুক্ত চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন হামলা, ভাঙচুর লুটপটের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন স্থানীয় এক হিন্দুর জমি দখল করে টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে জবর দখল করে রেখেছিল। সোমবার স্থানীয়
লোকজন তা অপসারন করে জায়গা খালি করে দিয়েছে। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবীর দত্ত জানান, খবর পেয়ে
উপ-পরিদর্শক হেকমত আলীকে সোমবার রাত ৯টার দিকে কালিবাড়ি বাজারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।