বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
সুন্দরবনে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু বাহিনী প্রধান আব্বাস বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় দেশি বিদেশি সাতটি অস্ত্র ও ১২৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ^র নদের কাতলার খাল এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন বনদস্যু বাহিনী প্রধান আব্বাস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ইউসুফ ফকির ও একই বাহিনির পেশাদার খুনি রুহুল আমিন। তবে এদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।র্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীব মুঠো ফোনে জানান, বিগত প্রায় পনেরো দিন ধরে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় দলছুট কিছু জলদস্যু ও বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা সংগঠিত হয়ে জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছিল। এর ভিত্তিতে র্যাব তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখে। বুধবার সকাল পৌনে আটটার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বলেশ^র নদের কাতলার খাল এলাকায় ৮/১০ জনের একটি দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে র্যাব সেখানে অভিযানে যায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টেরপেয়ে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। সকাল পৌনে আটটা থেকে প্রায় সাড়ে আটটা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলার এক পর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীণে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা তল্লাসি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ এবং দেশি বিদেশি আট,টি অস্ত্র ও ১২৪টি গুলি উদ্ধার করে। বন্দুকযুদ্ধের পর মাছ ধরা জেলেরা সেখানে এসে নিহত দুজনকে বনদস্যু আব্বাস বাহিনীর সদস্য বলে সনাক্ত করেন।বন ও সাগরের উপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের সুরক্ষা দিতে র্যাব দীর্ঘদিন কাজ করছে। আমাদের অভিযানের কারনে তারা বর্তমানে অনেকটাই কোন ঠাসা। কিছু দলছুট বনদস্যুরা সংঘবদ্ধ হয়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছিল।