ভয়াবহ দাবদাহে পুড়ছে ইরান। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আজ রোববার (২৮ জুলাই) সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।
রাজধানী তেহরানে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিদ্যুৎ বাঁচাতে রোববার ব্যাংক, অফিসসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এটির আওতামুক্ত থাকবে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইরানের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তা সাদেগ জিয়াইয়ান আধাসরকারি বার্তাসংস্থা মেহের নিউজকে বলেছেন, শনিবার ১০টি প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছিল। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের দেলগানে। এই প্রদেশের সঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে বাতাস ঠান্ডা হয়ে যাবে। ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দেশটিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার রেকর্ড ৭৮ হাজার ১০৬ মেগাওয়াটে পৌঁছায়। নিজেদের ঠান্ডা করতে মানুষ বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি করায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গত বছর ইরানে দুইদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন অসহনীয় গরম, খরা ও বন্যা দেখা যাচ্ছে।