• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

ডিএসই’র লেনদেন প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা

আপডেটঃ : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

লেনদেনের অর্ধেকই ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে Åসর্বোচ্চ অবস্থানে ডিএসইর সূচক

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় বারোশ’ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। আর এ লেনদেন গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ব্যাংকিং খাতের। এ খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৯ কোটি টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ৪৬ শতাংশ। এছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ১৪১ কোটি টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ শতাংশ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেক বেশি। তাই এ খাতের কোম্পানিগুলোতে শেয়ার লেনদেন অনেক বেশি। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন প্রান্তিকের মুনাফা ঘোষণা করছে। অনেকে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে। তার উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয় করছেন। ফলে এসব কোম্পানিগুলোতেও লেনদেন ভালো হচ্ছে।

তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে ১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। এ দুই মাসের মধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেনই হয়েছে ৪ দিন। গতকাল ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৫২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। যা এ সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। গতকাল বাজারে সূচক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে খাদ্য, টেলিকমিউনিকেশন, ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং ব্যাংকিং খাত।

এদিকে গতকালও ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে মন্দ কোম্পানিগুলো। গতকাল সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সাভার রিফেক্টরিজের। জেড ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। এছাড়া জেড ক্যাটাগরির জুট স্পিনার্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। দুলামিয়া কটনের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বিচ হ্যাচারির দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। সিনোবাংলার দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। স্বল্পমূলধনী জেড ক্যাটাগরির এসব কোম্পানির দর বৃদ্ধি নিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা বলছেন, বাজারে এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের সংখ্যা খুব কম হওয়ায় এ শেয়ারগুলো নিয়ে কারসাজি করা সহজ। নানা সময়ে এ শেয়ারগুলো নিয়ে কারসাজি হয়েছে। এখনও গুজব ছড়িয়ে এ কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানো হচ্ছে। শেয়ার বিনিয়োগকারীদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের কোথাও জেড ক্যাটাগরি বলে শেয়ারের কোনো ক্যাটাগরিই নেই। বিনিয়োগকারীরা বাছ-বিচার করে মৌলভিত্তি বিবেচনা করে শেয়ার কেনেন। আর আমাদের বাজারে বিনিয়োগকারীদেরকে সচেতন করতে মন্দ কোম্পানিগুলোকে জেড ক্যাটাগরিতে দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও যদি তারা সতর্ক না হন তবে স্টক এক্সচেঞ্জ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা তেমন কিছু করতে পারবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ