এস.কে কামরুল হাসান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রধান সহকারী আশিক নেওয়াজের বিরূদ্ধে দুর্নিতী ও অনিয়মের অভিযোগে জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বর্তমান সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তৌহীদুর রহমান তাকে সাতক্ষীরা কলারোয়ায় বদলী করলেও তিনি কলারোয়ায় এক মাস অফিস করে ফের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে তদাবির করে তিনি আবারো সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের প্রধান সহকারী হিসাবে পূনরায় যোগদানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু সাধারন মানুষ ও ভুক্ত ভুগীদের প্রত্যাশা ছিল নুতন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তৌহীদুর রহমান একজন সৎ কর্মকর্তা তিনি সকল দূর্নিতীর কবল থেকে এই হাসপাতালকে জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ও স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দ্বারগোড়ায় পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি একটি পরিচ্ছন্ন ও দূর্নিতী মুক্ত হাসপাতাল পরিচালনা করবেন। কিন্তু সে আশা পুরন হল না সাতক্ষীরাবাসীর, ডাঃ মোঃ তৌহীদুর রহমানের কাছে বদলী প্রাপ্ত প্রধান সহকারী আশিক নেওয়াজের পূনরায় যোগদানের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন যেখানেই বদলী করিনা কেন যারা খারাপ ও দূর্নিতীবাজ সে অন্য জায়গায় গিয়েও করবে অতএব এদের কে বদলী করলেও ভাল সুফল পাওয়া যায় না, এবং তার এই দূর্নিতী অনিয়ম ও দীর্ঘ দিন থেকে কিভাবে সে একই স্থানে চাকরি করেন এ প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তৌহীদুর রহমান এড়িয়ে যান, এবং তিনি বলেন আমার মিটিং আছে আমি ব্যাস্ত আছি, এখন আর কথা বলতে পারব না। সেই একই ছবি, নতুন কোন দৃশ্যমান কিছু দেখা যায়নি, হাসপাতালে ডুকলেই যেনো নর্দমার ডাষ্টবিন মেঝে গুলা প্রতিনিয়ত অপরিস্কার থাকে বিশেষ কোন কর্মকর্তার হাসপাতালের পদার্পন ছাড়া ধোয়া মোছা ও পরিস্কারের কাজ খুব বেশি চোখে পড়েনা। কে শোনে কার কথা এ যেন হরিলুটের বতাশা, যখন যে কর্মকর্তা আসে প্রথম প্রথম দু এক দিন ভাল কাজ দেখিয়ে জনগনকে সন্তষ্ট রেখে পরবর্তিতে নিজের আখের গোছানোর কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন বাংলায় একটা প্রবাদ আছে সর্ষ্যার মধ্যে ভূত, সিভিল সার্জনের কঠোর ভূমিকা না থাকায় তার কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারি ও দির্ঘ্য মেয়াদী এই হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে ঘুস ও দূর্নিতীতে জড়িয়ে পড়ছে। এদিকে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নিত্যদিনের অভিযোগ। সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলছে জোড়া তালি দিয়ে দায়সারা ভাবে। প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারন রোগিরা। সরকারি বরাদ্ধকৃত ঔষধ সাধারন রোগীদের প্রাপ্য থাকলেও তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি ঔষুধগুলো পাওয়া যায় বিভিন্ন ফার্মেসীতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হতদরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া থানা ঘাটা এলাকার ভূক্ত ভূগী আব্দুল গফুর। ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার পরে ঔষধের স্লিপ নিয়ে কাউন্টারে জমা দিয়েও মিলছে না সরকারি বরাদ্ধকৃত ঔষধ। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে বের হলো সিভিল সার্জনের প্রধান সহকারী আশিক নেওয়াজের দূনীর্তির খতিয়ানের চাঞ্চাল্যকর তথ্য নিয়ে আসছি আগামী পর্বে।