বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।
কুয়ালালামপুরে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই ছিলো তাদের। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান পায় বাংলাদেশ। ওপেনার নাইম শেখ ১৪ রান করে ফিরলেও, অধিনায়ক সাইফ হাসানের সাথে উইকেটে জমে যান আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ। দ্বিতীয় উইকেটে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন তারা। পিনাক ও সাইফের ১০৫ রানের জুটির কল্যাণে লড়াই করার পথ পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
সাইফ ৭৮ বলে ৬১ রান করে ফিরলেও, সেঞ্চুরির পথেই হাটচ্ছিলেন পিনাক। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৩ বলে ৮২ রান করে ফিরেন তিনি। সাইফের ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।
পিনাক ও সাইফ ফিরে যাবার পর আফিফের দুর্দান্ত ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আফিফ ৫টি চারে ৫৫ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেন। এছাড়া আট নম্বরে নেমে ১৫ বলে ২২ রান করেন নাইম হাসান। পাকিস্তানের মুনির রিয়াজ ৫৩ রানে ৩ উইকেট নেন।
জবাবে জয়ের জন্য ২৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ২৬ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যানকে হারায় পাকিস্তান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলানোর আগেই দলীয় ৫১ রানে পাকিস্তান শিবিরে আবারো আঘাত হানে বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ৬৯ রানের জুটিতে খেলার ফেরার পথ পায় পাকিস্তান। তবে দলীয় ১২০ রানে চতুর্থ উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি তারা। কারন পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ তাহা ও সাদ খান ৭৭ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন। তাতে ৩৮ দশমিক ২ ওভারে ১৯৭ রানে পৌছে যায় পাকিস্তান। ঐ ওভারে নামের পাশে ৯২ রান করে ফিরেন তাহা। আর ৩৯ ওভারের পর বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরবর্তীতে আর বল মাঠে গড়ায়নি। এসময় পাকিস্তানের রান ছিলো ৫ উইকেটে ১৯৯ রান। এরপর বৃষ্টি আইনে মাত্র ২ রানে এগিয়ে থেকে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশের কাজি অনিক ২টি, আফিফ হোসেন ও শাখাওয়াত হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২ উইকেটে, দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে ২৬২ রানের বড় ব্যবধানে এবং তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। বাসস।