• শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভারতের সাথে বিভাজনের অপচেষ্টা- ওবায়দুল কাদের

আপডেটঃ : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭

রংপুর অফিস॥
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, রামু-নাসির নগর ও রংপুরের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা প্রথম দিন থেকে আক্রান্তদের পাশে আছি। এই পাশবিক হামলা যারা সনাতন ধর্মলম্বীদের উপর করেছে, বাড়ি ঘর পুঁড়েছে। তারা মঞ্চে কিংবা বাইরে থাকুক, তাদের  আইনের আওতায় নেওয়া হবে। গতকাল রোববার সকালে রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর হরকলি ঠাকুর পাড়ায় পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথাগুলো বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্থ ১১টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও দুইটি করে কম্বল দেওয়া হয়। সেতুমন্ত্রী বলেন, একটি স্বার্থন্বেসী মহল সাম্প্রদায়িক এইসব কর্মকান্ড সংঘটিত করে প্রতিবেশী ভারতের সাথে বিভাজন করার অপচেষ্টা করছে। যারা এ ষড়যন্ত্র করছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচানকে সামনে রেখে একটি অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি ঠাকুরপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা করেছে। এ পরিকল্পনা করা যেন পানি ঘোলা করে প্রতিবেশী দেশের সাথে উন্নয়নমূলক সম্পর্কের অবনতি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত নেতারা।  পরিদর্শনকালে সেতুমন্ত্রী  সঙ্গে ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক এড.রেজাউল করিম রাজু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি প্রমূখ। এদিকে  হিন্দু বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার ৫ আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুরে কোতয়ালি আমলী আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো; ফেরদৌস আহমেদ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক তারেক হোসেন আসামি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান ও আমিনুল ইসলামের চারদিন করে। এছাড়াও রশিদুল ইসলাম ও আব্দুল আলীমের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে, হিন্দু বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু রাফা মোহাম্মদ রাকিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-এ) সাইফুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। এদিকে কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আরও ৭ দিন সময়সীমা বাড়িয়ে  দেওয়ার আবেদন করেন বলে জানান কমিটির সদস্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। গত শুক্রবার জুমা নামাজের পর টিটু রায়ের ফাঁসির দাবিতে শলেয়াশাহ বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এলাকাবাসী। উল্লেখ্য ঠাকুরপাড়া গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করে জামায়াত নেতাসহ  কয়েক হাজার মানুৃষ। এ নিয়ে স্থানীয় মুসল্লী ও গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন পুলিশসহ ১৫ জন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ