কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি॥
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস সংকটের কারণে এলাকার দুই সহস্ত্রাধিক পরিবারের চুলা জ্বলছে না। কেউ, কেউ বাধ্য হচ্ছেন এলপি গ্যাস কিংবা মাটির চুলায় রান্না করতে। উপজেলার লতিফপুর, মহিষ বাথান, টেংলাবাড়ি, সাহেব বাজার, বড়ইতলী ও শ্রীফলতলী এলাকায় গ্যাস সংকট সবচেয়ে বেশী। এসব এলাকায় দীর্ঘ তিনমাস যাবৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও প্রয়োজনীয় গ্যাস না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। তবে এসব এলাকার গ্যাস সংকটের কারণে অবৈধ গ্যাস সংযোগকে দায়ী করছেন সচেতন মহল।
জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর, গোয়ালবাথান, মহিষবাথান , টেংলাবাড়ী, সাহেব বাজার, বড়ইতলী ও শ্রীফলতলী এলাকার গ্রাম গুলোতে দুই সহস্ত্রাধিক বৈধ পরিবার তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগছেন। ওই সব এলকায় দীর্ঘ তিনমাস যাবৎ গ্যাস সরবরাহ রয়েছে বন্ধ। গ্যাস সংকটের কারণে অনেক পরিবারের চুলা জ্বলছে না। আবার কোন কোন পরিবার এলপি গ্যাস কিংবা মাটির চুলায় রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন। নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও গ্যাস না পেয়ে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন-নিবেদন ও মানববন্ধন করেও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্টিবিউশন কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্যাস বঞ্চিত গ্রাহকরা। তবে এসব এলাকার গ্যাস সংকটের জন্য শ্রীফলতলী ইউনিয়নের বড়ইতলী ও সূত্রাপুর ইউনিয়নের উত্তর হিজলতলী, নামাসুত্রাপুর, টানসুত্রাপুর (মৃধাপাড়া), গজারিয়া কাঞ্চনপুর,,কাঠালতলী, উত্তরদাঁড়িয়াপুর এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগকে দায়ী বলে সচেতন মহলের ধারণা।
উপজেলার মহিষ বাথান এলাকার মোঃ সেলিম খান, সফিকুর রহমান খান, লতিফপুর এলাকার মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ শাহজাহান, রেজাউল করিম, সাহেববাজার এলাকার আব্দুল মজিদ মাষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সিরাজ উদ্দিন, শ্রীফলতলী গ্রামের গোলাপী বেগম, বড়ইতলী গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান ও টেংলাবাড়ি গ্রামের মোঃ আব্দুস সবুর জানান, গেল রমজান মাসের প্রথম থেকেই তাদের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তারা জানান, আমরা নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও দীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ আমাদের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছি না। গ্যাস সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে আমরা দুই সহস্ত্রাধিক পরিবার এলপি গ্যাস কিংবা মাটির চুলায় রান্নার কাজ চালাচ্ছি। এতে একদিকে গ্যাসবিল অপরদিকে বাড়তি জ্বালানি খরচ বহন করতে হচ্ছে। তারা অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দ্রুত গ্যাস সংকট সমাধানের দাবী জানান।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্টিবিউশন লিঃ চন্দ্রা জোনাল ম্যানেজার সুরুয আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দ্রুত গ্যাস পাওয়া ও সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান কার্যালয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই গ্যাস সমস্যার সমাধান হবে।