শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া সব প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে মুজিব সিনেমা করে আলোচনায় আসা অভিনেতা আরিফিন শুভকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া রাজউকের প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুভর সঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক লিটন হায়দারের প্লটও বাতিল হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।
জানা যায়, গত বছরের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রাজউকের বোর্ড সভায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প থেকে শুভকে ১০ কাঠা এবং প্রযোজক লিটন হায়দারকে ৩ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর এ প্লটের বিপরীতে শুভ সরকার-নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে একটি চুক্তিপত্রও গ্রহণ করেন। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তিনি এ প্লটের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করে নিতে পারেননি।
এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শুভর প্লটসহ গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলো নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরিফিন শুভ ও লিটন হায়দারের প্লট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক।
রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মূলত, রেজিস্ট্রেশন হয়নি, এমন শতাধিক প্লটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বোর্ড সভায় এ তালিকা উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত আরিফিন শুভ অভিনীত ও মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ ছবি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ভারতীয় উপমহাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের নির্দেশনায় সিনেমাটিতে কাজ করেছিলেন তিনি। সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে মাত্র ১ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। তবে চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার পুরস্কার হিসেবে তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দেওয়া হয় ১০ কাঠা প্লট।
এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে ‘নূর’, ‘নীলচক্র’সহ শুভর বেশ কয়েকটি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভারতীয় সিরিজ ও সিনেমায় তার অভিনয়ের কথাও জানা গিয়েছিল, যেগুলোর কোনো কোনোটার শুটিং শিগগির শুরু হবে আবার প্রস্তুত হয়ে থাকা ছবি মুক্তিও পাবে।