বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের চিতলমারীর গরীবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর বালা সহ তার পরিবারের ৮ জনকে প্রতিবেশীরা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে একে একে তারা সকলে অচেতন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ প্রধান ওই শিক্ষকের বোয়ালিয়া গ্রামের বাড়ি ও হাসপাতালে পরিদর্শন করেছেন। কিশোর বালার স্ত্রী শিপ্রা বালা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি ছাড়া পরিবারের সকলে মাছের তরকারি ও দুধ দিয়ে ভাত খায়। এরপর এক এক করে তার স্বামী কিশোর বালা (৪৫), শ্বশুর প্রফুল্ল বালা (৬৫), শ্বাশুড়ী পুষ্প রাণী বালা (৬০), ছেলে রূপম বালা (৫), রাজদ্বীপ (৩), ভাসুর প্রমথ বালা (৫০), তার স্ত্রী নমিতা বালা (৪০) ও পরিবারের কাজের লোক লক্ষণ মন্ডল (৩৫) অচেতন হয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশীদের ডাক দিলে ছুটে এসে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সকলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. সজল কুমার বিশ্বাস জানান, ওই পরিবারের লোকজন চেতনা নাশক মিশানো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থ্যদের গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক কিশোর বালার প্রতিবেশী বোয়ালিয়া গ্রামের ফটিক বিশ্বাস, চিম্ময় মন্ডল ও স্কুল শিক্ষিকা চন্দ্রা বিশ্বাস জানান, ঘটনার পর এলাকায় চোর আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তাই চোর ধরতে গ্রামবাসি নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। তবে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল বোয়ালিয়া গ্রামের বাড়ি ও হাসপাতালে পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা চলছে।