• সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চায় ইউনিসেফ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
সংগৃহীত।

মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

শনিবার এক লিখিত বিবৃতিতে ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেন, ‘এই মুহূর্তে গাজা উপত্যকায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। অনেক বেসামরিক মানুষ হাসপাতাল ও স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক স্কুল বোমার আঘাতে ধ্বংসও হয়ে গেছে।’

‘গাজায় এখন প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে শিশুরা। নিরবিচ্ছিন্ন হামলা থেকে এই শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’

২ বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শেষে ৭ অক্টোবর শনিবার সকালে দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত ক্রসিংয়ে বেড়া গুঁড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে শত শত হামাস যোদ্ধা। তার আগে ভোররাত থেকে সেখানকার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ৩ হাজারেরও বেশি গ্রেনেড ছুড়েছিল হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড।

এই হামলার শুরুতে খানিকটা অপ্রস্তুত থাকলেও অল্প সময়ের মধ্য তা কাটিয়ে পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধের ময়দানে নামে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর, অর্থাৎ হামলার প্রথম ৬ দিন গাজা উপত্যকায় অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলেছে আইডিএফের বিমানবাহিনী। ব্যাপক এই বোমা হামলায় হামাসের অন্তত ২০০টি ঘাঁটি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৯শ’। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ।

এছাড়া গত ৭ দিনের যুদ্ধে গাজায় বাস্তুচ্যুত লোকজনের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সাড়ে চার লাখে।

এদিকে ৭ অক্টোব, অর্থাৎ হামলার প্রথম দিনই গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে উপত্যকাজুড়ে ইতোমধ্যেই মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি শুরুর আভাস মিলছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওচা)। সূত্র : এএফপি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ