• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

সুন্দরবনে র‌্যাবের সাথে বনদস্যুদের ঘন্টাব্যাপি বন্দুকযুদ্ধ ছত্তার বাহিনীর এক সদস্য নিহত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮

বাগেরহাট :
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে র‌্যাবের ঘন্টাব্যাপি বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ছত্তার বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালা নদীর আমবাড়িয়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৭ রাউন্ড তাজা গুলিসদুই টি ছোরা সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, র‌্যাব নিহত বনদস্যুর (৩৫) নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি ।র‌্যাব-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুরাত আলম জানান, বনদস্যু ছত্তার বাহিনী সুন্দরবনের আমবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে র‌্যাবের একটি দল অভিযানে যায়। র‌্যাব সদস্যরা আমবাড়িয়ার কাছাকাছি পৌঁছলে সুন্দরবনের ভেতর থেকে দস্যুরা আকষ্মিক গুলি বর্ষণ শুরু করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। ঘন্টাব্যাপি উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে বনদস্যুরা পিছুহঠে সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক বনদস্যুর মরদেহ, ২টি দেশে তৈরী বন্দুক, ১টি এলজি, ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি, ১২টি গুলির খোসা, ১টি রাম দা, ১টি ছুরি, ২টি টর্স লাইট, একটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারী, ১টি সোলার প্লেট ও চাল-ডালসহ বনদস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধ শেষে শ্যালা নদীতে মাছ ধরারত জেলেরা ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন। ওই জেলেরা নিহত বনদস্যু (৩৫) ছত্তার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য বলে সনাক্ত করেন। তবে তারা ওই বনদস্যুর নাম পরিচয় জানাতে পারেননি। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে র‌্যাব-৮ এর ডিএডি একে এম আবু হোসেন শাহরিয়ার বাদি হয়ে দুপুরে সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এ রিপোর্ট লেকা পর্যন্ত্য নিহত বনদস্যুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।##
বাগেরহাটে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের
দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাট প্রতিনিধি.
জেলেদের নামে হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলেরা। জামিনে মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলানায়তনে নির্যাতন ও হয়রানির স্বীকার মোঃ জাফর বিশ্বাস এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে বলেশ্বর নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, সুন্দরবনের সুপতি ষ্টেশনের সিপি মোঃ কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একটি স্পীড বোটে আমাদের ট্রলারের কাছে আসেন। পরে তাদের কয়েকজন ট্রলারে ওঠে আমাদের সাথে থাকা জেলে জলিল জমাদ্দারকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। এরপর ট্রলারে থাকা মনির পলহান ও আল আমিন বিশ্বাসসহ আমাদের ৩জনকে বলে তোদের ট্রলারে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রয়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জ করলে আমাদের মারধর করে এবং ট্রলারে থাকা আমাদের বৈধ কাগজপত্র ফেলে দেয়। পরে স্পীড বোটের চালক রেজাউল বেপারি ট্রলারের পিছনে গিয়ে পুরোনো একটি রাইফেলের গুলি ও এয়ারগানের গুলি নিয়ে এসে আমাদের দেখায়। শরণখোলা থানায় ১৭/৩৮ নং মামলা দিয়ে সোপর্দ করে। এ হয়রানি মূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে এবং সংশ্লিষ্ট কোস্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা।

বাগেরহাট
২৪. ০৪. ২০১৮


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ