ভোলা প্রতিনিধি॥

ভোলায মসজিদ ধ্বংসের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় জাতীয় “দৈনিক সোনালী খবর ও দৈনিক মাতৃছায়া” পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম ও তার ক্যামেরাম্যান শাহীন আলম ভুট্ট আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয় আহত সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম জানান, ভোলা সদর উপজেলাধীন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পক্ষিয়া বটতলা বাজার সংলগ্ন খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলন করায় খালপাড় সংলগ্ন স্থানীয় একটি জামে মসজিদের নিকট থেকে ঐ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুকের নেতৃত্বে প্রভাবশালী এক বালু ব্যবসায়ী মসজিদ মাঠের সামনে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার ফলে ভু গর্ভস্থ মাটি সরে গিয়ে ভুমি ধ্বসের আশংকা সহ মসজিদের মাঠ নিচু হয়ে গিয়ে মসজিদ খালের দিকে ঝুকে পড়ে মসজিদটির এক পাশ দেবে যাওয়া শুরু করে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আমি এবং আমার সহযোগী গত ২৭ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ১ টার সময় ঘটনাস্থানে গিয়ে শুক্রবারের জুমার নামাজ আদায় করি । জুমা নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে মসজিদের সামনে দাড়িয়ে নামাজ পড়তে আসা স্থানীয় এক মুসল্লীর কাছে ড্রেজার দিয়ে সরকারী খাল থেকে কারা বালু উত্তলন করছে সে বিষয় জানতে চাওয়া হলে ঐ মুসল্লী কিছু বলতে গেলে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা ড্রেজার ব্যাবসায়ীর সন্ত্রাসী বাহিনীর এক সদস্য আমার পিছন থেকে এসে সাইফুল নামের একব্যক্তি আমার একহাতে থাকা WE স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং অন্যহাতে থাকা ১টি SONY ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে সাইফুল (৩৫) পিতা: কাঞ্চন বেপারী তার সাথে থাকা শাহিন বেপারী (৩০) শাহাবুদ্দিন শিকদার (৪৫), আলী বেপারী, আলম, মানিকসহ অপরিচিত আরো কয়েকজন মিলে আমাকে ও আমার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান শাহীন আলম ভুট্টকে এলোপাথারী মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায় আমাদের দুজনকে ধরে জোর করে একটি অটো রিক্সায় করে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পারুক তার বাড়ির ভিতরে বসে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালামন্দ করে পুনরায় লাঠি দিয়ে মারধর করে আমার পকেটে থাকা টাকা, ১টি পেন ক্যামেরা নিয়ে যায়। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানতে পেরে সাবেক ইউপি সদস্য ফারুকের বাড়ি থেকে সাংবাদিক মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও শাহিন আলম ভুট্টো কে উদ্ধার করে চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে সাংবাদিক ফরিদের অবস্থা আশঙ্ক জনক দেখে আমাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান। অভিযোগের ভিত্তিতে সর জমিনে গেলে স্থানীয় শহিদ নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বলেন, সাইফুল (৩৫) পিতা: কাঞ্চন বেপারী, শাহিন বেপারী (৩০) শাহাবুদ্দিন শিকদার (৪৫), ফারুক মেম্বার, আলী বেপারী, আলম, মানিকসহ স্থানীয় প্রভাবশালী সাবেক মেম্বার ফারুক এর ক্ষমতার দাপটে বালুর ব্যবসা করে আসছে। শহিদ আরো বলেন, মসজিদ সামনের থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু নিয়ে যাওয়ার পর মসজিদের মাঠ নিচু হয়ে হয়ে গিয়ে মসজিদ খালের দিকে ঝুকে পড়ে। এ ব্যপারে গত ২৭ এপ্রিল ২০১৮ দুপুর অনুমান ২.৩০ ঘটিকার সময় স্থানীয় সাবেক মেম্বার ফারুক এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি মুঠফোন দিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে খবর দেয়। সাংবাদিক মোঃ ফরিদুল ইসলাম এবং তার সহ কর্মীর উপর সাবেক মেম্বারের সামনে সাইফুল ও ১০/১৫ জন মিলে ব্যপক হামলা চালায়। জোর পূর্বক ভাবে সাংবাদিকদেরকে সাইফুল ও মেম্বারের আওতায় নিয়ে যায়। বর্তমানে সাংবাদিক ফরিদ ও তার ক্যামেরাম্যান ভূট্ট ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক সোনালী খবর, জাতীয় দৈনিক মাতৃছায়া ও অনলাইন আজকের ডাক, ক্রাইম বাংলা নিউজ.কম, স্বাধীন বাংলা নিউজ.কম, ডিবি বার্তা নিউজ ২৪.কম ভোলা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন। গোপন সংবাদে আরো জনাযায়, ফারুক মেম্বার ও সাইফুল এর বিরুদ্ধে অবৈধ বালি ব্যবসা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। গোপন সংবাদের আরো জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক উক্ত ঘটনার স্বাক্ষীদের গত ০১-০৫-২০১৮ইং রাত্র ৮.০০ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ঘটনাস্থলে স্বাক্ষীদের কাছ থেকে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়টি পরিদর্শন করে। স্বাক্ষীদের কাছ থেকে উক্ত বিষয়টি জানার পরে আসামীরা ফারুক, সাইফুল, শাহাবুদ্দিন সিকদার, শাহিন সহ আরো কয়েকজন স্বাক্ষীদেরকে কে মোটা অংকের টাকা দিতে চায়। মসজিদের মুসল্লিগন টাকা না নিতে চাইলে স্বাক্ষীগনকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি প্রদান করে। ০২-০৫-১৮ইং তারিখ সকাল ৯.০০ টার দিকে সাংবাদিক মোঃ ফরিদুল ইসলামকে সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক বলেন আমি ক্ষমতাশীল লোক এ ব্যপারে মামলা করলে আরো ভয়াবহ অবস্থা করবে বলে হুমকি-দামকি দেয়। এ ব্যপারে ভোলা সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।