• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

প্রতারক চক্র ভূয়া কাগজ দেখিয়ে মাংলা কারইয়ার্ড থেকে আড়াই কোটি টাকার প্রাডো গাড়ী নিয়েগেছে -৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেটঃ : বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
একটি প্রতারক চক্র এবার বন্দর কর্তৃপক্ষ কে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মোংলা কারইয়ার্ড থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাস বহুল প্রাডো জীপ গাড়ী বের করে নিয়েগেছে । এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে বন্দরের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই প্রতারক চক্র গাড়ী নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করা হয়েছে। বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা থেকে গাড়ী খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিজে ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে বন্দর কর্তৃপক্ষের জেটির অভ্যন্তরের ৫ নং সেডে থাকা একটি প্রাডো জীপ গাড়ী ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় জনৈক এক ব্যক্তি। এরপর ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাগজপত্র মিলিয়ে দেখেন ভূয়া ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরিকৃত কাগজপত্র জেটির মুল গেইটে জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার এ ঘটনায় ট্রাফিক অফিসার মিজানুর রহমান মোংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। সোমবার জেটির গেইটে ও ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব থাকা দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অবহেলায়র দায়ে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলো ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র আউটডোর এ্যাসিস্টেন্ট মো: তোফাজ্জেল। বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা থেকে গাড়ী খোয়া যাওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী ( তড়িৎ ও যান্ত্রিক) লে: কর্ণেল মিজানুর রহমান শাহ চৌধুরীকে। এদিকে প্রাডো গাড়ী খোয়া যাওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে তদন্ত শুরু করেছে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল আলম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী। মোংলা বন্দর কর্র্র্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগেরর দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি। এছাড়া বন্দরের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগ এবং পুলিশ প্রশাসন পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর থেকে বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যে প্রাডো জীপ গাড়ীটি বন্দর থেকে কে বা কাহারা ছাড়িয়ে/বের করে নিয়েছে ওই গাড়ীর কোন শুল্কায়নের কাগজপত্র কাস্টমসে জমা হয়নি। শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মোংলা বন্দর কেন্দ্রীক গাড়ী আমদানীকারকদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শন ও এ বন্দরের সুনাম ক্ষুন্নের জন্যই একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীও জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, এর আগে একই কায়দায় প্রতারক চক্র একটি বিএমডব্লিউ গাড়ী ও কন্টেইনার ভেঙ্গে কোটি টাকার কাপড় চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে জেটির অভ্যন্তর থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে অনুমতিবিহীনভাবে একটি কন্টেইনার বাহিরে নিয়ে আসেন তড়িৎ ও যান্ত্রিক বিভাগের অপারেটর মিজানুর রহমান। এতে মুচলেকা দিয়ে ভুল স্বীকার করেন অপারেটর মিজান। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ