• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

রসিকের কোথাও কোনও পরিকল্পনার ছাপ নেই

আপডেটঃ : শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮

রংপুর ব্যুরো অফিস॥
৬ বছর পূর্ণ হয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বয়স । তবে, এখনও পুরো নগরী রয়েছে অগোছালো। কোথাও কোনও পরিকল্পনার ছাপ নেই। যত্রতত্র নির্মাণ হচ্ছে ছোট বড় স্থাপনা। যেন ইচ্ছে মতোই চলছে নগরায়ণ।  অথচ, এই সিটি করপোরেশন এলাকায় অত্যাধুনিক নগরায়ণে সুন্দর সম্ভাবনা রয়েছে। রংপুর পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে ২০১২ সালের ২৮ জুন প্রতিষ্ঠা হয় রংপুর সিটি কর্পোরেশন। পৌরসভার পূর্বের ১৫টি ওয়ার্ডের সাথে বর্ধিত এলাকার ১৮টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয় সিটির মধ্যে। এতে করে সিটির আয়তন দাঁড়ায় প্রায় ২শ ৬ বর্গ কিলোমিটারে। আয়তনে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এই সিটিতে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য আধুনিক নগরায়ণে এখনও বাস্তবায়ন হয়নি কোনও মাস্টার প্ল্যান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দাবি, রংপুর সিটিকে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নিরাপদ সিটি হিসেবে গড়তে একটি মাস্টার প্ল্যান অনুমোদনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কিন্তু এই সিটির প্রথম মেয়র মরহুম সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টুর আমলে তা আলোর মুখ দেখেনি। এর জন্য সাবেক মেয়রকেই দায়ী করা হচ্ছে।  এদিকে, আধুনিক রংপুরের জন্য ২০১০ সালেই মাস্টার প্ল্যান তৈরিতে হাত দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০১৪ সালেই সেই প্লান জমা হয় অনুমোদনের জন্য। তবে, এখনও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আধুনিক রংপুর নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে নগরবাসী। বিলুপ্ত রংপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. জুননুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি রংপুর সিটিকে মাস্টার প্ল্যানের আলোকে গড়ে তোলা হবে। কিন্তু তা এখনো শুরু হয়নি। অন্যদিকে, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু জানান, আধুনিক রংপুর সিটি গড়ে তোলার জন্য মাস্টার প্ল্যান খুবই জরুরি। তাছাড়া পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, চার বছরেও মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিয়ে কোনও গেজেট প্রকাশ হয়নি। এতে আধুনিক নগরের রুপকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না বলে তিনি মনে করেন । তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হয়ে গেলেও এখনও আমাদের কাছে কোনও গেজেট সরবরাহ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন না হওয়াটা হতাশার। তবে, আমরা থেমে নেই। বিশেষ করে সিটির বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডে প্ল্যান অনুযায়ী স্থাপনা, রাস্তাঘাট, ড্রেন, লাইটিং ব্যবস্থাসহ সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ