• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না গাজায় গণকবর থেকে প্রায় ৪০০ মরদেহ উদ্ধার দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করে না, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষো হংকং, সিঙ্গাপুরের পর ইইউতে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে মিলেছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক থাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে প্রস্তাব, হতে পারে বাণিজ্য চুক্তি: প্রধানমন্ত্রী বন্যা-ভূমিধস তানজানিয়ায় নিহত অন্তত ১৫৫, আহত দুই শতাধিক ভর্তুকি কমিয়ে বিদ্যুৎ-গ্যাস-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র

ধনবাড়ীতে তিন মাস চারদিন পর কবর থেকে ধর্ষিত গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১৮

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে তিন মাস চারদিন পর অপহরণের পর দফায়-দফায় ধর্ষণ ও শারিরীক নির্যাতনে নিহত গৃহবধূ কাকলী বেগমের (২৩) মরদেহ আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সোমবার(৯ জুলাই) বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সিদ্দিকার নেতৃত্বে উপজেলার বানিয়াজান ইউানয়নের চুনিয়া পটল গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে কাকলীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যসহ এলাকাবাসী, সাংবাদিক, বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন নিজেরা করি ও ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার চুনিয়া পটল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে কাকলী বেগমের পাশের বলদিআটা গ্রামের শাহজান আলীর ছেলে লিটন মিয়ার সাথে ২০১৩ সালের ২৮ মে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিল। এরই মধ্যে পাশের বাড়ির ছাহের আলীর ছেলে রেজাউল হক (৩০) মাঝে মধ্যে কাকলী বেগমকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। এতে রাজি না হলে রেজাউল ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যায় কাকলী বেগম বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে গৈরাং নামকস্থানে আরো ৭-৮ জন দুর্বৃত্তকে সাথে নিয়ে জোর পূর্বক একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর অজ্ঞাতস্থানে রেখে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দফায়-দফায় ধর্ষণ করতে থাকে। এভাবে পৈশাচিক, শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে কাকলী বেগম নিস্তেজ হয়ে পড়লে মৃত ভেবে গত ৪ এপ্রিল(বুধবার) রাতে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে, ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাজহান ওরফে কহিনুরের নেতৃত্বে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে চার লাখ টাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে সামাজিক চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই গৃহবধূর মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ঘটনার পরপরই ধনবাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালী রেজাউল গংদের চাপে রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলা নেননি। ফলে বাধ্য হয়ে নিহতের মা হেলেনা বেগম টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালে মামলা দায়ের(নং- ১৫৯/২০১৮ইং) করেন। মামলা দায়ের করার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেয়। মামলার বাদী হেলেনা বেগমকে মামলা প্রত্যাহরের হুমকি দেয়া হয় বলে তিনি দাবি করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ