• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হংকং, সিঙ্গাপুরের পর ইইউতে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে মিলেছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক থাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে প্রস্তাব, হতে পারে বাণিজ্য চুক্তি: প্রধানমন্ত্রী বন্যা-ভূমিধস তানজানিয়ায় নিহত অন্তত ১৫৫, আহত দুই শতাধিক ভর্তুকি কমিয়ে বিদ্যুৎ-গ্যাস-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩ দায়িত্ব পালন কালে হিটস্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী-এমপিদের সজনদের কাছে জিম্মি স্থানীয় জনগণ : রিজভী ৪ মে থেকে খুলতে পারে স্কুল-কলেজে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের ফুটপাতে পড়েছিল রিকশাচালকের লাশ

জেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই নেত্রীর চুলোচুলি

আপডেটঃ : বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
রংপুর জেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে পরিষদ চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের হাতাহাতি এবং চুলোচুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় নেত্রী পরস্পরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সোমবার সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান শাফিয়া খানম ও পরিষদ সদস্য পারভীন আখতারের মাঝে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই নেত্রীই পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন। এদিকে রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক নারী সদস্যকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে পরিষদ সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় পরিষদের চেয়ারম্যান তার কক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে ১ ঘন্টা কক্ষের সামনেই অবস্থান করেন। পরে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করে অফিস কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়।
রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে জেলা পরিষদ সদস্য পারভীন আখতার বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ে আলোচনার জন্য রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফিয়া খানমের চেম্বারে যান। এ সময় তাদের উভয় মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে একে অপরের সঙ্গে চুলোচুলি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য পারভীন আখতার জানান, জেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষ করে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের কয়েকটি প্রকল্পের বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করতে যাই। এ নিয়ে দু’জনে কথা বলার সময় হঠাৎ করে চেয়ারম্যান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তিনি অ্যাশট্রে দিয়ে আমাকে ঢিল মারেন। এ সময় তিনি আমাকে মারধর করেন ও পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন। তিনি এ ঘটনার জন্য চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, ‘আমি এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনার সময় উপস্থিত জেলা পরিষদ সদস্য রমজান আলী জানান, দুই পক্ষকেই আমি নিবৃত করার চেষ্টা করি। তবে তাতে সফল হতে পারিনি। তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের আচরণকে স্বৈরাচারী উল্লে¬খ করে বলেন, প্রতিবাদ সভা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফিয়া খানম বলেন, আমি অফিসে বসে ছিলাম। এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য পারভীন আখতার এসে তার নামে ৩টি প্রকল্পের কাগজ ঠিক করে দেওয়ার দাবি জানান। আমি বলি- সভা না করে কোনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না, মাসিক সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে কিন্তু সে কোনও কথা না শুনে এখনই কাগজ পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেয়। তার কথা না শোনায় আমাকে বাজে ভাষায় গালাগাল করে। সে আমার গলার স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে ফেলে এবং আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বাধ্য হয়ে আমি অফিস থেকে বাসায় চলে আসি। এ ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ