• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামের নাককাটিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণী কক্ষে পাঠদান

আপডেটঃ : সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি॥
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার নাককাটির হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই চলছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। যে কোন সময় কক্ষটির ছাদের প্লাষ্টার খসে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের আহত হওয়ার আশংকা থাকলেও শ্রেনী কক্ষ সংকটে ঝুকি নিয়েই এ পাঠদান অব্যাহত রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বছর পূর্বে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করলেও নতুন ভবন নির্মাণ না করায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার নাককাটিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯৩ সনে একটি অফিস কক্ষ সহ চার কক্ষ বিশিষ্ঠ একটি ভবন নির্মিত হয়। প্রায় দুই বছর পূর্বে ভবনের একটি শ্রেণী কক্ষের বিভিন্ন অংশ ধ্বসে পড়া শুরু করলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শ্রেণী কক্ষটি পরিত্যাক্ত হিসেবে তালাবদ্ধ করে রাখেন। অপর শ্রেণী কক্ষ দু’টিরও বিভিন্ন অংশে ধ্বস নামায় এক বছর পূর্বে উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ পুরো ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করে এবং নতুন ভবন নির্মানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তুু আজ পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় উপায়হীন ভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষ দু’টিতেই পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন।এ অবস্থায় প্রচন্ড ভীতি নিয়ে ওই কক্ষেই পাঠ দান করানো হচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বপন কুমার, রবিউল ইসলাম ও শারমিন আক্তার জানান, আমাদের স্যার আমাদের এই সব ঝুকিপুর্ণ রুমে ক্লাস করান। আমরা স্যারের কথা শুনে সেখানে ক্লাস করি। কিন্তু আমরা সব সময় ভয়ে থাকি। কখন প্লাস্টার খসে মাথায় পড়বে তার ঠিক নাই। আমরা চাই আমাদের জন্য নতুন ক্লাস রুম তৈরি করা হোক। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা পারভিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করতে চায় না। তবু ও সেখানেই ক্লাশ করতে হচ্ছে। দেয়াল ও ছাদের প্লাস্টার ধ্বসে ধ্বসে পরে। এছাড়া বর্ষাকালে কক্ষের ভিতর পানি জমে থাকে।প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, আমরা উপায়হীন হয়ে পরেছি। নি¤œমানের ইটগুলোর উপর নতুন প্লাস্টার কিংবা মেরামতও সম্ভব না হওয়ায় ওই কক্ষেই পাঠদান করাতে হচ্ছে। বিষয়টি বার বার উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবগত করেও কোন লাভ হয়নি।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিদ্যালয়টি ঝুকিপুর্ণ হিসেবে তালিকা করে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ