• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

রংপুরে এসএসসি’র ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা আদায়

আপডেটঃ : সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
রংপুরের পীরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশ না মানায় অস্বচ্ছল পরিবারের পরীক্ষার্থীরা বেকায়দায় পড়েছে। শিক্ষাবোর্ড ৫ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম পুরনের সময় দিলেও ২ দিনের মধ্যেই ফরম পুরন করেছে বিদ্যালয়গুলো।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পুরনের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড বিজ্ঞান শাখায় ১ হাজার ৮৫০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ১ হাজার ৮১০ টাকা নির্ধারন করে দিয়েছে। এর বেশী টাকা কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দাবী করতে পারবে না। কিন্তু পীরগঞ্জ উপজেলার কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়েই সে নির্দেশ মানছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন খাত সৃষ্টি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২ হাজার ২’শ টাকা থেকে ২ হাজার ৬’শ টাকা পর্যন্ত ফরম পুরনে নেয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের হাজী বয়েন উদ্দিন পাবলিক স্কুলে ২’শ ৭জন, মাদারগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১’শ ৪৭ জন, জাহাঙ্গীরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯১ জন, ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১’শ ৪৮জন, কাদিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৬ জন, চতরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১’শ ২৫ জন সহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ফরম পুরন করছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে নোটিশ না দিয়ে মৌখিকভাবে ফরম পুরনের টাকার কথা বলা হয়েছে। তবে কয়েকটি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে, শিক্ষার্থীরা নোটিশ ছিড়ে নিয়ে গেছে। কাদিরাবাদ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান তার বিদ্যালয়ের ফরম পুরনের তথ্য না দিয়েই মিটিংয়ে আছি বলেই তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। সেখানে ২ হাজার ৫’শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় চালাতে অনেক খরচ হয়, তাই বিভিন্নখাতে টাকা নেয়া হয়ে থাকে। মাদারগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোঃ তাজুল ইসলাম শামীম অনেকটা হুমকির স্বরে বলেন, কোন প্রকার তথ্য দিব না। কোন কোন পেপারে খবর লিখবেন, লেখেন। উপজেলা বাশিস এর সাধারন সম্পাদক আবু আজাদ বাবলু বলেন, অনেকে তদবির করায় ফরম পুরনের নির্ধারিত টাকা পাওয়া যায় না। পাশাপাশি বোর্ডে কয়েকবার যাতায়াত করতে হয়। তাই অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। একাধিক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বোর্ডের নির্ধারিত টাকা স্যাররা নেয় না। বাধ্য হয়ে স্যারদের দাবীকৃত টাকা দিতে হচ্ছে। ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউএনও টিএমএ মমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লিখিত অভিযোগ কেউ না দিলে তখন কি করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কিছুই বলেননি।
উল্লেখ্য, ১০ ও ১১ নভেম্বরেই পীরগঞ্জের বিদ্যালয়গুলোতে এসএসসি’র ফরম পুরন করা হয়েছে। এখনো অনেকেই ফরম পুরন করতে পারেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ