রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি॥
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালা গ্রামের জমদ্দার বাড়ির প্রবাসি মানিক হোসেন বিদেশ ফেরতের ২মাসে পুত্র সন্তানের বাবা হলেন। সৃষ্ট ঘটনা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানান সৌদি প্রবাসী মানিক হোসেন গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৬ তারিখে রোববার দেশে ফেরত আসেন। দেশে ফেরতের দুই মাস না যেতে শুক্রবার বিকেলে পৌরশহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মানিকের স্ত্রী মরিয়মের পুত্র সন্তান প্রসব হয়। মানিকের চাচা মমতাজ উদ্দিন জানান, মানিক হোসেন তার মেয়ে মর্জিনার দেবর হয়। মর্জিনার শ্বামী দুলাল,দেবর মানিক সৌদি আরব চাকুরি করতেন। প্রসূতি মরিয়ম আক্তার ও আমার মেয়ে মর্জিনা একটি নতুন বাড়িতে বসবাস করতেন। ফেব্রুয়ারী মাসের ২৮ তারিখে মর্জিনাকে দুর্বৃত্তরা তার বাসভবনে গণধর্ষনের পর হত্যা করে ঘরের মেঝে হাত-পা বেঁধে মূর্তি সেজে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ঢাকা জজকোর্টে হত্যা মামলা মরিয়ম আক্তারকে আসামী করা হয়েছে। মমতাজ উদ্দিন বলেন মরিয়মের পরকিয়া প্রেমিকের হাতে আমার মেয়ে মর্জিনা হত্যা হয়েছে।
প্রসূতি মরিয়ম বেগম ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন, পুত্র সন্তান যেভাবে হয়েছে তবে মরিয়ম হত্যার ঘটনা সাথে তিনি জড়িত নহে।
মরিয়মের ছেলে মুরাদ হোসেন জানান, সকাল হতে তার ফুফুরা তার মাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
মানিক হোসেন জানান, তার স্ত্রী মরিয়ম তার অবাদ্য। তিনি সংবাদ কর্মিদেরকে অনুরোধ করেন স্ত্রীর সাথে আলাপ করে তার পরকিয়া প্রেমিককে সনাক্ত করতে।
মানিকের বড় ভাই ফারুক হোসেন জানান, মরিয়মের পরকিয়া প্রেমিককে সনাক্ত করতে পারলে মর্জিনা হত্যার ঘটনা সহজে উৎঘটন হবে।
ইউপি মেম্বার সফিকুল ইসলাম জানান, মরিয়মের বিরুদ্ধে মর্জিনা হত্যা মামলা তদন্ত চলমান ও পুত্র সন্তানের জনককে সনাক্ত করতে পারলে হত্যা রহস্য উৎঘটন সহজ হতে পারে।
থানা ওসি তোতা মিয়া জানান, অবৈধ সন্তান বিষয়টি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।