স্টাফ রিপোর্টার॥
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আকশ্মিকভাবে আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের চোরাচালান।সেসাথে বেড়েছে বিস্ফোরকের চোরাচালানও। ধারনা করা হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনকে টার্গেট করে এ অস্ত্র চোরাচালান। নির্বাচন কে সামনে রেখে সরকার যখন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমার উদ্যোগ নিয়েছে ঠিক সে সময় অস্ত্র চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায় সচেতন মহলের মধ্যে এক ধরনের উৎকন্ঠা লক্ষ্য করা গেছে।চোরাচালানকৃত অস্ত্রের মধ্যে গত এক মাসে আইনশৃঙ্থলা বাহিনী ১৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে। সর্বশেষ গত ২২ নভেম্ববর বৃহষ্পতিবার শিবগঞ্জের ২ টি সীমান্ত থেকে জব্দ করা হয়েছে ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৯ নখেম্বও শিবগঞ্জের চকপাড়া সীমান্তে ২ টি অত্যাুনিক পিস্তল,৪ টি ম্যাগজিন ও ১৪ রাউন্ড গুলি পরিত্যাক্ত অবস্থায় উআর করে বিজিবি।এদিকে অস্ত্রের পাশাপাশি বেড়েছে বিস্ফারক চোরাচালান। চলতি সপ্তাহে বিজিবি ৩শ গ্রাম গানপাউডার উদ্ধ্াারের পর শুক্রবার সকালে শিবগঞ্জের ওয়াহেপুর সীমান্তে ৬ শ গ্রাম গানপাউডর পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার কওে বিজিবি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৯ নভেম্বর ১টি পিস্তল সহ ১ জনকে ও ১৪ নভেম্বর ২ টি পিস্তল সহ ২ জনকে আটক করেছে র্যাব।অন্যদিকে ১৭ নভেম্বর বিজিবি ৪ টি ওয়ান শুটারগান,১৯ নভেম্বর ২ টি পিস্তল এবং সর্বশেষ ২২ নভেম্বর ৩ টি পিস্তল পরিত্যাক্ত অবস্থায় জব্দ করে বিজিবি।
সীমান্ত গুলোতে অনেক চিন্হিত অস্ত্র ব্যবসায়ী অস্ত্র চোরাচালান করলেও তারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।পুলিশ বা র্যাবের অভিযানে কিছু অস্ত্র চোরাচালানি আটক হলেও বিজিবির অভিযানে আটক আগ্নেয়াস্ত্রের অধিকাংশই মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ হওয়ায় মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চোরাচালানকৃত অস্ত্রের কিছু অংশ ধরা পড়লেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র গুলি চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এ ব্যাপারে ৫৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটকের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আসামীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব না হলেও সীমান্তে সকল ধরনের অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক দ্রব্যাদি চোরাচালানের বিরুদ্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের এই অভিযান অব্যাহত আছে ও থাকবে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার জানান, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজিবি।আর সীমান্তের এপাওে পুলিশের নজরদারীর কারনে অন্যান্য যে কোন সময়ের থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালান অনেক কমে গেছে।বিজিবি সীমান্তে তাদেও দায়িত্ব ঠিকমত পালন করতে পারলে পুলিশ এ জেলাকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকমুক্ত জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে একদিন।অবশ্য এজন্য তিনি রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারন কে সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন।