• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ফিলিস্তিনের গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না গাজায় গণকবর থেকে প্রায় ৪০০ মরদেহ উদ্ধার দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করে না, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষো হংকং, সিঙ্গাপুরের পর ইইউতে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে মিলেছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক থাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে প্রস্তাব, হতে পারে বাণিজ্য চুক্তি: প্রধানমন্ত্রী

তানোর উপজেলা নির্বাচনে এগিয়ে ময়না

আপডেটঃ : শনিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯

তানোর প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান যুবরাজ লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে  দিয়ে এবার আওয়ামী লীগ তাদের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন পুরুণ করতে চায়। ইতমধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সৈনিক লীগ আর্দশিক নেতৃত্ব ময়নাকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে মাঠে নামতে নির্দেশণা দিয়েছেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই খবরের সতত্যা নিশ্চিত করেছে। আবার তৃণমূলের মতামতের ভিত্ত্বিতে প্রার্থী দেয়া হলে জনপ্রিয়তায় ময়নার ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না এসব বিবেচনায় উপজেলা নির্বাচনে ময়নার মনোনয়ন নিশ্চিত। তানোর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগে ময়নার কোনো বিকল্প নাই এমনকি তৃণমূল ময়নার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব কোনো অবস্থাতেই মেনে নিবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছে। কারণ উপজেলা নির্বাচনে ময়না ব্যতিত বিকল্প কোনো নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে বিজয়ী হওয়া অসম্ভব। বিশ্লেষকদের অভিমত, আওয়ামী লীগের বিশাল ভোট ব্যাংক ও উপজেলা জুড়ে ময়নার বিশাল কর্মী বাহিনী কাজে লাগাতে পারলে ময়নার বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই দলীয় প্রতিকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্বাচন কমিশন তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। এদিকে দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধীদল বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতা এখানো নির্বাচনে প্রার্থী হবার প্রকাশ আগ্রহ প্রকাশ করেনি। কিšত্ত এই দুটি রাজনৈতিক দলের তৃণমূল ইতমধ্যে তাদের পচ্ছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলেছে এমনকি নিজ নিজ প্রার্থীর যোগ্যতা তুলে থরে আলাপ-আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, উপজেলা নির্বাচনে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে তার বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তৃণমূলের ভাষ্য তারা আর কোনো রাজনৈতিক বেঈমান বা বিশ্বাসঘাতককে নেতৃত্ব দিয়ে দলের ক্ষতি করতে চাই না। যারা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য নীতি-নৈতিকতা ও দলীয় আদর্শকে জলাঞ্জলী দিয়ে দল,নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানি করে এমনকি তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিথ্যা নালিশ করে এমন বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানদের তারা কোনো অবস্থাতেই উপজেলা নির্বাচনে মেনে নিবেন না। তারা আদর্শিক নেতৃত্ব, তরুণদের আইডল ও উন্নয়নের রুপকার ময়ননাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই এক্ষেত্রে তারা কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দিতেও নারাজ।
জানা গেছে, তানোর উপজেলা পরিষদের আগামী নির্বাচনে আলোচনা ও তৃণমূলের পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, কলমা ইউপির দুই বারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান, সেরা ও সফল সংগঠক, তরুণদের আইডল, উচ্চ শিক্ষিত, তরুণ নেতৃত, মেধাবী, বিচক্ষণ ও রাজনৈতিক দূরদর্শীতাসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। দল, নেতা ও নেতৃত্বেও প্রতি নিবেদিতপ্রাণ, আদর্শিক নেতৃত্ব, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়নের মানসিকতা, কর্মী-জনবান্ধব ও শিশু সূলভ আচরণের মাধ্যমে ইতমধ্যে তিনি ভোটারদের মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হলেও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ,কৃষকলীগ-ছাত্রলীগ, সৈনিক লীগসহ রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সরব বিচরণ। একে বারে তৃণমূল থেকে উঠে আশা নেতা ময়না ইতমধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীর কাছে আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছে। ফলে উপজেলা নির্বাচনে তিনিই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন এটা নিশ্চিত।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে অনুপস্থিত আর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন অনেকটা নিস্ক্রিীয় আবার একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দুই নেতার ভূমিকা নিয়েও তৃণমূলে রয়েছে চরম অসন্তোষ থাকায় ময়নাকে ঘিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে আবার আওয়ামী লীগের তৃণমলে ও সাধারণ মানুষের কাছে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে  উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজে ও তার পরিবার সম্পৃক্ত রয়েছেন। আবার উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিত, তরুণ, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও মেধাবী নেতৃত্ব হিসেবে তার একটা নিজ্বস্ব ব্যক্তি ইমেজ, বিশাল কর্মীবাহিনী এবং অন্যান্য সবকিছু তার অনুকুলে রয়েছে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হলে তার বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে সচেতস মহল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত। ইতমধ্যে তানোরের সব থেকে বড় ইউনিয়ন পরিষদ কলমা ইউনিয়নে তিনি টানা দুবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বপালন বরছেন। তিনি ইতমধ্যে কলমা ইউপিকে উন্নয়ন রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার উন্নয়ন মানসিকতায় উপজেলাবাসী মূগ্ধ যেকোনো মূল্য তারা ময়নাকে উপজেলা চেয়ারম্যান করতে চান।
জানা গেছে, বর্নাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ও জীবনের অধিকারী যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার জন্ম একটি অন্যতম রাজনৈতিক সচেতন ও সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। উপজেলা জুড়ে ময়নার পরিবারের ব্যাপক সামাজিক পরিচিতি রয়েছে এবং ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। বাংদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের এবং স্বস্থ্যমন্তী মোহাম্মদ নাসিমসহ জাতীয় পর্যায়ে অনেক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার রয়েছে গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক। একজন উচ্চ শিক্ষিত সৎ,যোগ্য ও ভালো মানুষ হিসেবে তার একটা পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে সর্ব মহলে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই একমাত্র প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। এসব বিবেচনায় অনেক সুবিধেও রয়েছে তার পক্ষে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, এসব বিবেচনায় ময়না প্রার্থী হলে তার বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাকে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বি  প্রার্থী বলে বিবেচনা করছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তানোর উপজেলার যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তাতে কোনো না কোনো অবদান রয়েছে ময়না ও তার পরিবারের। এ ছাড়াও ক্লিনম্যান হিসেবে দলমত নির্বিশেষে তানোরবাসীর কাছে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। কলমা ইউপি আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান বলেন, আগামী উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এটা নিয়ে কারো কোনো সংশয়ের অবকাশ নাই। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি উপজেলাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার শিক্ষা বিস্তার, মাদক মুক্ত, শতভাগ স্যানিটেন, বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা ও  সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণের মাধ্যমে তানোরকে একটি মডেল উপজেলায় উন্নীত করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ