• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

‘নোলক’ ছবি নিয়ে নতুন জটিলতা!

আপডেটঃ : সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

মাত্র কয়েক মাস আগে বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ‘নোলক’ নামের একটি চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি তার মহরতের কারিশমায় যতটা না আলোচিত ছিল, তার চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল ছবিটিতে রেকর্ড সম্মানী (৬০ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল) নিয়েছেন নাকি শাকিব খান! আর সেই অনুষ্ঠানে তরুণ পরিচালককে নিয়ে কত উচ্চাশা আর সম্ভাবনার কথা-ই না আমাদের শুনতে হলো। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই খবর ফলাও করে প্রচারও পেয়েছিল।

অথচ মাস কয়েক যেতে না যেতেই সেই ‘নোলক’ ছবির পরিচালক রাশেদ রাহা সিনেমাটি ‘ছিনতাই’য়ের অভিযোগ করলেন খোদ প্রযোজকের বিরুদ্ধে! গতকাল বিকেল পৌনে ৪টায় পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। একই ঘটনায় প্রযোজক সাকিব ইরতেজা চৌধুরী সনেটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রযোজক-পরিবেশক সমিতিতে অভিযোগ দায়ের করেন রাশেদ রাহা।

তরুণ পরিচালক রাশেদ রাহা। তিনি জানান, ‘নোলক’ ছবির ৮৫ শতাংশ শুটিং সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে মাঝেপথে ছবিটি ‘ছিনতাই’ করা হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রযোজক-পরিবেশক সমিতিতে দেওয়া অভিযোগে রাশেদ রাহা লেখেন, ‘যথা বিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি রাশেদ রাহা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির একজন সদস্য। আমি ২৩/১১/২০১৭ তারিখে নোলক নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধন করি। দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশন সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে বর্ণাঢ্য মহরতের মাধ্যমে আমার ওপর ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে ইতোমধ্যে ছবির ৮৫ ভাগ শুটিং সম্পন্ন করেছি। গত ১ ডিসেম্বর থেকে টানা ২৮ দিন ছবির শুটিং হয়েছে ভারতের হায়দ্রাবাদ রামোজি ফিল্ম সিটিতে। অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন শাকিব খান, ববি, ওমর সানী, মৌসুমী, তারিক আনাম খান, নিমা রহমান, রেবেকা, কলকাতার রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, অমিতাভ ভট্টাচার্য প্রমুখ।’

রাশেদ রাহা তার আবেদনে লেখেন, ‘ছবির বাকি অংশের শুটিং করার জন্য আমি অনেকদিন থেকেই প্রস্তুত। কিন্তু মাসখানেক আগে এ ছবির প্রযোজক সাকিব ইরতেজা চৌধুরী (সনেট)-এর পক্ষ থেকে বাকি অংশের শুটিংয়ের জন্য পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর সঙ্গে পরামর্শ করতে বলা হয়। ছবির নির্মাণকৌশল ও গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে কারো সঙ্গে পরামর্শ করতে আগ্রহী ছিলাম না। বিভিন্ন সূত্রে হঠাত্ জানতে পারি, আমাকে ছাড়াই পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীকে দিয়ে নোলক ছবির বাকি অংশের কাজ শেষ করার জন্য প্রযোজক এরইমধ্যে একটি দল নিয়ে গত ২১ জুলাই কলকাতায় পৌঁছেছেন। পুরো ব্যাপারটা ঘটেছে আমার অজ্ঞাতে।’ এ প্রসঙ্গে পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোনে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ প্রসঙ্গে রাশেদ রাহা বলেন, ‘তার পাশে তার হিরো শাকিব খানও রয়েছেন। কারণ তিনিও নাকি বিষয়টি জানেন না।’ এখন পরিচালক সমিতিতে উত্থাপনের পর বিষয়টি সমিতি কি ব্যবস্থা নেয় সেটিই দেখার অপেক্ষা। তবে ঈদে রিলিজের সম্ভাবনায় আছে ছবিটি। এই জটিলতার মারপ্যাঁচে ছবিটি ঈদের শিডিউল হারালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রযোজক নিজেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ