• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

‘বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে অংশীদার হতে পেরে গর্বিত যুক্তরাষ্ট্র’

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো সত্যিকার অর্থে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদার দেশগুলোকে মহাকাশে পৌঁছাতে সাহায্য করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল কোম্পানিগুলোর অন্যতম স্পেসএক্স সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম নিজস্ব যোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ভারত-প্রশান্ত মহাসগরীয় বিজনেস ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
এই ফোরামে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে তার দফতরের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার ব্রায়ান হুক ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মার্কিন সরকারের নীতি, দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন। কেননা বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় অর্ধেকই এ অঞ্চলের দেশগুলোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত ভিত্তিমূলক ডিজিটাল ইকোনমি, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতের জন্য নতুন করে ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে।
পম্পেও’র বক্তব্যের সূত্র ধরে ব্রায়ান হুক বলেন, এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির নতুন যুগের শুরু হিসেবেই এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। টেলিকনফারেন্সে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশের অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক, বেসরকারী খাতের উদ্যোক্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অংশ গ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তার বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয় না। তারপরও আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করি যাতে মার্কিন কোম্পানিগুলো সফল হয় এবং দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব তৈরি হয়।
তিনি বলেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখার মার্কিন লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়িক সম্পর্ক রেখেছে। এই অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নের সঙ্গে মার্কিন জনগণ ও পুরো বিশ্ব জড়িত। তাই  এই অঞ্চল অবশ্যই মুক্ত ও উন্মুক্ত থাকবে হবে।
এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের কথা উল্লেখ করে পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় লক্ষ্যে কোনও জাতিকে বাদ দেওয়া হয়নি। একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আমরা যে কারও সঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে নিজের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য বদ্ধপরিকর। কারণ আমরা চাই আমেরিকানরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সব মানুষের সঙ্গে ২০২০, ২০৩০, ২০৪০ ও আরও পরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভাগাভাগি করে নেবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ