অনেক দিন ধরেই ব্লু হোয়েল আতঙ্কে ছিল মানুষ। এরপর হঠাৎ মোমো নামের গেইমের কথা শুনা যায়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন আরেকটি ভয়ঙ্কর গেইমের কথা শুনা যাচ্ছে।
গ্র্যানি নামের নতুন এই গেইমটি আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারতের জলপাইগুড়িতে। বুধবার রাত থেকে রীতিমতো হুলস্থূল কাণ্ড জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায়।
ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ময়নাগুড়ির তিন স্কুল ছাত্র বুধবার রাতে হঠাৎ করেই অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে, আবার কেউ পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। পরিস্থিতি এমনই হয়ে ওঠে যে, থানার পুলিশকে খবর দিতে হয়।
ময়নাগুড়ির খুকশিয়ার বাসিন্দা সুকুমার রায় বুধবার রাতে হঠাৎ করে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর করতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
পুলিশের কাছে সুকুমার দাবি করেছে, বুধবার রাতে মোবাইল দেখছিল সে। তখন ফেসবুকের অ্যাপটি হ্যাং হয়ে যায়। সেটি চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ড চায়। আর তারপরই ফেসবুকে গ্র্যানি গেমটি আসে।
সুকুমারের দাবি, ওই গেমটির তিনটি ধাপ খেলেছে সে । তার পরই নাকি, অজান্তেই তার মধ্যে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন শুরু হয়।
এদিকে একাদশ শ্রেণির আরেক ছাত্র শিবু লোহার দাবি করেছে, ফেসবুকে সে গেমটি পায়। তারপর গেমটি খেলতে শুরু করে।
শিবুর বোন রুমা বলেন, রাতে শিবু হঠাৎ করেই আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। বলে সে আত্মহত্যা করবে। মোবাইল ফোনটা হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় সে।
একই রকম আচরণ করে খুকশিয়ারই আর এক কিশোর রণজিৎ রায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই গ্রামে তদন্তে যান ময়না গুড়ি থানার আধিকারিকরা।
পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা তদন্তের পর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, গ্র্যানি নামের এই গেমটি মোমো বা ব্লু হোয়েলের মত লিঙ্ক নির্ভর নয়। গেমটি মূলত ভয়ের। এই গেমের বিভিন্ন ধাপে রক্ত, ভূত বিভিন্ন রকম হিংসার ঘটনা রয়েছে।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি নন্দকুমার দত্ত জানিয়েছেন, ওই ছাত্রদের পরিবার মোবাইলগুলো জমা দিয়ে গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।