তরন সমাজ আজ বিপথগামী। তারা পরিবার, সমাজ, জাতী এবং দেশকে পঙ্গু করার লিপ্ মুনাফালোভী মাদক ব্যবসায়ী জঙ্গী সৃষ্টিকারী উগ্র সংগঠন সন্ত্রাসের মদদদাতাদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তরুনরা হল তারুন্য দীপ্ত এক যুবক সমাজ। তারা প্রত্যেক ক্ষেত্রে সাহসী বুদ্ধি এবং কর্মঠ এর ভূমিকা রাখতে পারে। তরুনদের মোটিভেশন করে তাদের সরলত কে পুজি করে তাদের দ্বারা যে কোন কঠিন এবং দুঃসাহসীক কাজ হাসিল করা যায়। তাদের এই সরলতার এক তারুন্যকে কাজে লাগিয়ে কেউ তাদের মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রনী, ছিনতাইকারী, খুনি আসামী তৈরি করছে। দেশের কিছু কিছু এনজিও এবং ভালো কিছু সংগঠন তাদের দ্বারা দেশ ও দশের সেবায় নিয়োজিত করছে। যারা তরুন সমাজকে বিপথে পরিচালিত করছে তারা সমাজ এবং দেশের শত্রু। এই সব দেশের শত্রুর কবল থেকে তরুনদের রক্ষা করা যেমন রাষ্ট্রের প্রশাসন এবং সামাজের দায়িত্ব তার চেয়ে বড় দায়িত্ব হল অভিভাবকদের। এখানে সন্তানের জন্য পিতা মাতার দায়িত্ব অনেক বেশী। যদি পিতা মাতা তাদের সন্তানদের ভালভাবে গাইড করতে পারে তাহলে তরুনদের বিপথে যাওয়ার সম্ভবনা খুব কম থাকে। তাই পিতা মাতার দায়িত্বটা খুব বেশী প্রয়োজন। তরুন সমাজকে স¤পূর্ণ নিরাপদ রাখতে হলে প্রশাসনকে সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, চদাবাজি এইসব বন্ধ করার জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তরুন সমাজকে পিথে আনার মোক্ষম অস্ত্র হল মাদক। একটি পরিবারের শান্তিকে নষ্ট করার জন্য একজন মাদকাসক্তই যথেষ্ট। তেমনি লক্ষ লক্ষ মাদকাসক্ত দেশের উন্নয়নের ধাবাহিকতা এবং সামাজের পরিবেশকে নষ্ট করতে পারে। সন্তনদের নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে হলে পিতা মাতাকে সন্তানদের বেশি বেশি সময় দিতে হবে। তাদের সাথে বন ্ধুর মত ব্যবহার করতে হবে। তাদের যে কোন সমসস্যাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের পড়ালেখা, কোচিং এাবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেলামেশা সব কিছুতেই মনিটরিং করতে হবে। তাহলে পিতা মাতা সুযোগ্য এবং সুশৃঙ্খল একজন সন্তান পাবে। না হলে পিথগামী সন্তানদ্বারা পিতা মাতা হত্যার অনেক উদাহরণ আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক নির্মুল অভিজান একটি সঠিক এবং সময়যোপযোগী সিন্ধান্ত। জঙ্গী নির্মুলে যেমন তিনি সফলতা পেয়েছেন তেমনি মাদক ব্যবসায়ীদের কঠিন হস্তে দমন করে তাদের নির্মুল অভিযান অব্যহত রাখলে শতভাগ সফলতা আসবে তা নিশ্চিত। দেশ ও জাতী মাদকের এক জগদ্দল পাথরের চেপে বসা থেকে মুক্তি পারে।