কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি॥
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে দু’টি নিস্পাপ মাসুম জমজ কন্যা শিশু সহ এক গৃহবধুকে ফেলে রেখে এবং বসত ঘরে তালা লাগিয়ে পাষান্ড স্বামী পালিয়ে গেছে।
গত তিন দিন তিন রাত গৃহবধু শিমু (২৫) চার বছর বয়সী দু’টি কন্যা সন্তান বাধন এবং মেধাকে নিয়ে তালাবদ্ধ ঘরের বারান্দায় অভুক্ত অবস্থায় পড়েছিল। এমন অসহায় গৃহবধুর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় ভাসুর মোকছেদ আলী।
২ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের এক দল সাংবাদিককে কাছে পেয়ে গৃহবধু শিমু হাতুর দিয়ে তালা ভেঙ্গে নিজ ঘরে প্রবেশ করে। এসময় সাংবাদিকের পাশাপাশি শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৩ মে একই ইউনিয়নের আবুল কাশেম শমসেরের কন্যা মোছাঃ শিমুর সাথে পাশ্ববর্তী গ্রামের আমজাদ হোসেন ভাটিয়ার পুত্র জহুরুল হকের বিবাহ হয়।
বিয়ের পর স্বামী জহুরুল হক তার দরিদ্র শশুড় শমসেরের কাছ থেকে যৌতুক বাবদ একটি ডিসকভার মটর সাইকেল, একটি ফ্রিজ এবং টিনশেড বিল্ডিং করার জন্য নগদ ১ লাখ টাকা আদায় করে। আরো যৌতুক পাবার জন্য স্বামী জহুরুল হক তার স্ত্রী শিমুর উপর নির্যাতন চালানোর মতো জঘন্য পথ বেঁচে নেয়।