দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। তিনি বলেন, দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। সরকার জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নীতি ও নৈতিকতা ধ্বংস করে দিয়েছে। বিদেশিদের হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিয়েছে। বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে দেশ চালাচ্ছে। দেশের মানুষ নানা সংকট ভোগকরছে। নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘রাতের ভোটের অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনীতির মাঠক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সংকট আরও ঘণীভূত হচ্ছে।’
রেজাউল করীম বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ইতিহাস নেই। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক আছে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে আয়োজনের পাঁয়তারা চলছে। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হলে দেশবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘দেশকে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। ফলে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলানোর সুযোগ পাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণমানুষের একটি সংগঠন, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজনীতিতে আদর্শিক ও গুণগত পরিবর্ত আনতে চায়।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘বিদ্যামান সংকট নিরসনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। জাতীয় সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। যা দেশের জনগণের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।