• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
১৯ বার নিশ্চিত মৃত্যুকে জয় করে এখন বিশ্ব রাষ্ট্রনায়ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র হামাস প্রধানকে হত্যা করে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে চায় ! ইসরাইল গাজা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে : সাবেক মোসাদ উপ-প্রধান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সবজি বহনকারী ট্রাক-লরি থেকে চাঁদাবাজি করছে নগর কর্তৃপক্ষ : সাঈদ খোকন পিটিয়ে ২ তরুণীকে আহত করার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হিউস্টনের ঝড়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা! র‍্যাবের হাতে হত্যা মামলার আটক আসামি মৃত অবস্থায় হাসপাতালে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান, ওবায়দুল কাদেরের অস্ত্র বোঝাই ইসরাইলি জাহাজ বন্দরে ভিড়তে দেইনি স্পেন বন্দরে

মোমবাতি কীভাবে জ্বলে, বিজ্ঞান কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩

মোমবাতি অতিপরিচিত একটি বস্তু। বিভিন্ন কারনে মোমবাতি জ্বালানোর প্রয়োজন পড়ে আমাদের। কিন্তু কীভাবে জ্বলে এই মোমবাতি?

মোমবাতির জ্বলন আমাদের কাছে খুবই সাধারণ ঘটনা মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ।

মোমবাতি তৈরি করা হয় মোম দিয়ে। মোমের মধ্যে রয়েছে হাইড্রোকার্বন নামে একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ।
হাইড্রোজন ও কার্বন- এই দুটি মৌলিক পদার্থের সংযোগে গঠিত হয় হাইড্রোকার্বন। মোমবাতির ভেতরে সুতার তৈরি একটি সলতে থাকে। এতে আগুন ধরিয়ে মোমবাতি কে জ্বালানো হয়। তবে এর জ্বালানিটা হলো মোম নিজেই।

মোমবাতিতে আগুন দেওয়ার সাথে সাথে কী হবে? প্রথমে কঠিন মোম গলে গিয়ে তরল হবে। তারপর তরল মোম রুপান্তিরত হবে বাষ্পতে— যে বাষ্প জ্বলতে পারে।

কিন্তু মোমের বাষ্প জ্বলে কেন?

মোমের বাষ্প মূলত দাহ্য বাতাসের সংমিশ্রনে তৈরি। হাইড্রোজনকে দাহ্য বাতাস বলা হয়।

দাহ্য বাতাস বা দাহ্য পদার্থগুলো আগুনের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে জ্বলে ওঠে। মোমবাতির সলতের মাথায় ওই তরল মোম উঠে আসে ম্যাজিকের মতো। তবে এটি আসলে ম্যাজিক নয়। পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ক্যাপিলারি অ্যাকশন। এর ফলে কোনো তরলের সংকীর্ণ পথে প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা।

মোমবাতির হাইড্রোকার্বনের দাহ্য বাষ্প পোড়ার ফলেই ওতে আগুন জ্বলে। বাতাসের অক্সিজেনের সাথে তরল মোম থেকে তৈরি মোমবাতির বাষ্পের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। তখন মোমবাতি থেকে আলো ও তাপ দুটোই পাওয়া যায়।

সত্যিই কী মোমের বাষ্প পোড়ার ফলেই মোমবাতির আগুন পাওয়া যায়?

জলন্ত মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিন। তার সঙ্গে সঙ্গে একটা জ্বলন্ত দেশলাই এর কাঠি সলতের এক ইঞ্জি ওপরে ধরলে সেটা আবার দপ করে জ্বলে উঠবে। কারণ তখন মোমবাতির পলতের ওপরের দাহ্য বাষ্পে আগুন ধরে যায়। সেইসঙ্গে সলতেতেও আগুন জ্বলে উঠে। এতেই প্রমাণ হয় মোমের বাষ্প পোড়ার ফলেই মোমবাতির আগুন পাওয়া যায়।

আবার মোমবাতির আগুনের শিখায় কাচের প্লেট ধরলে দেখা যাবে প্লেটের গায়ে কালো রঙের দাগ। মোমের ভেতরে যে কার্বন রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। মোমের ভেতরের হাইড্রোজেন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে পুড়ে পানি তৈরি করে। সেই সাথে কার্বন আর অক্সিজেনের বিক্রিয়াতে কার্বন- ডাই- অক্সাইড গ্যাসও তৈরি হয়। সূত্র: রসায়ন বিজ্ঞান


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ