কানে মাইক্রো ইলেকট্রনিক ডিভাইস লাগিয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন জাহিদ হাসান নামের এক যুবক। শিক্ষকদের হাতে বিষয়টি ধরা পড়ার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জাহিদ হাসান যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রামের আবু দাউদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ৫টি কেন্দ্র ছিল। নতুন বিজ্ঞান ভবনের ১০৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন জাহিদ হাসান। তার কানে একটি মাইক্রো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছিল, আরেকটি ছিল পকেটে। বাইরে থেকে এই ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর না পেয়ে জাহিদ হাসান কোন কিছু না লিখে উত্তরপত্র নিয়ে বসেছিলেন। পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তারা জাহিদ হাসানের ওপর বিশেষ নজর দেন। এরমধ্যে ওই ডিভাইসে একটি শব্দ হলে ধরা পড়ে যান তিনি। সাথে সাথে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাহিদ হাসানকে আটকের পর যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে তার কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করে আনা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।