বরগুনায় পৃথক দুটি অভিযানে ১০ কেজি গাঁজার চালান আটক করা হয়েছে। এই গাঁজা উদ্ধার নিয়ে প্রশ্ন জন্মেছে, বরগুনাতে কি গাঁজাসেবি বেড়েছে, নাকি এ অঞ্চলকে গাঁজা পরিবহনের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) রাতে বরগুনা পৌর বাসটার্মিনাল থেকে অভিযান চালিয়ে দুই কেজি গাঁজা বহনকারী একজনকে আটক করা হয়। এছাড়া গত শনিবার কুরিয়ার সার্ভিস থেকে চা পাতার সঙ্গে আট কেজি গাঁজাসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরগুনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, বরগুনায় গাঁজাসেবি বেড়েছে ঠিকই তবে বরগুনা মাদক চালানের রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বেশি। বিগত দিনেও যানবাহনে আসা গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে জেলা পুলিশের সদস্যরা।
বরগুনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী পরিবহনে করে মাদকের চালান যাচ্ছে বরগুনায়। পরে আমরা ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে একটি গাড়িতে অভিযান চালিয়ে মো. সানু হাওলাদার (৫৫) নামে এক যাত্রীকে তল্লাশি করি। পরে তার কাছে থাকা কালো একটি ব্যাগভর্তি দুই কেজি গাঁজা জব্দ করি।
মাদক বহনকারী মো. সানু হাওলাদার সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আঙ্গার পাড়া এলাকার মৃত্যু মো. হাসেম হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বরগুনার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম বলেন, শনিবার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা বস্তায় বিশেষ কায়দায় ওপরে-নিচে চায়ের পাতা রেখে মাঝে আট কেজি গাঁজা বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় কাকলি আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোথা থেকে এ মাদক পাঠানো হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে কুমিল্লা বা কক্সবাজার থেকে এ মাদকের চালানটি আসতে পারে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদের ধরতে অভিযান চলছে।