• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি ২০১৮

আপডেটঃ : সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭

অলোক কুমার মিস্ত্রী. প্রভাষক, জীববিজ্ঞান বিভাগ

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ পিরোজপুর

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিও। আজ আমি তোমাদের জীববিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্রের একটি সৃজনশীল প্রশ্নোওর উপস্থাপন করব, যা ২০১৮ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় সকল বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ঃ রূপম অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তাকে দেখতে দশম শ্রেণির বড় ছাত্রদের মতো মনে হয়। ডাক্তার বলল, কিছু গ্রন্থির অতিরিক্ত ক্ষরণে তার অতি বৃদ্ধি ঘটেছে।

(ক) আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স কী ?                              ১

(খ) বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলতে কী বুঝ ?                                  ২

(গ) যে ধরণের গ্রন্থির ক্ষরণে রূপমের উপরোক্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।                   ৩

(ঘ) উল্লেখিত ধরণের গ্রন্থি মানবজীবনের পরিপাক, শ্বসন ও সংবহনের সাথে জড়িত-উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।       ৪

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ঃ

 

(ক) আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স ঃ অগ্ন্যাশয়ের ছোট ছোট নালিকার প্রান্তে আঙ্গুরের গোছার মতো সাজানো দ্বীপের মতো গ্রন্থিকোষগুলোকে আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স বলে।

 

(খ) উত্তর ঃ যে সব গ্রন্থি তাদের নিঃসৃত রাসায়নিক রস নালিকার মাধ্যমে উত্পত্তিস্থলের অঙ্কুরেই বহন করে, সেগুলোকে বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয়। এদের নিঃসৃত তরল পদার্থ জুস বা রস নামে পরিচিত। যেমন ঃ লালাগ্রন্থি, যকৃত ও অগ্ন্যাশয়।

(গ) উত্তর ঃ রূপমের উক্ত সমস্যার কারণ হলো পিটুইটারি নামক গ্রন্থির সম্মুখ অংশ থেকে অতিরিক্ত গ্রোথ হরমোন ক্ষরণ, যা সোমাটোট্রফিক হরমোন নামে পরিচিত। মানুষের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য সম্মুখ পিটুইটারি গ্রন্থির গ্রোথ হরমোনই প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। এ হরমোন তরুণাস্থি কোষের সজীবতা ধরে রেখে এর দৈর্ঘ্যের বৃদ্ধি ঘটায়। তাছাড়াও দেহে কোষ বিভাজন ঘটিয়ে মাংসপেশি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অংশে স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে উক্ত হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণ ঘটে থাকলে রূপমের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

 

(ঘ) উত্তর ঃ মানব জীবনে খাদ্য পরিপাকে লালারস, অগ্ন্যাশয় নিঃসৃত রস ও আন্ত্রিক রসের অ্যামাইলেজ হরমোন কার্বোহাইড্রেট পরিপাকে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়াও প্রোটিন ও চর্বি পরিপাককারী এনজাইম, যেমনঃ ট্রিপসিন কোলাজিনেজ, লাইপেজ ও ফসফোলাইপেজ অগ্ন্যাশয় ও আন্ত্রিক রসে বিদ্যমান থাকে। এছাড়াও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন গ্যাস্ট্রিন ইত্যাদি পরিপাকে ভূমিকা পালন করে।

তাছাড়াও কার্বনিক অ্যানহাইড্রেজ নামক এনজাইম বা বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় তা রক্তে বহন করে। এছাড়াও বৃক্ক থেকে ক্ষরিত এরিথ্রোপোয়েটিন নামক হরমোন যা লোহিত রক্তকণিকা উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ করে রক্তসংবহনে বিশেষ ভূমিকা সাধন করে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ