সিলেট অফিস
জামাত নেতা জুবায়ের ও লোকমান সাথে মুক্তিযোদ্ধা ফলিকের সভা নগরীতে তোলপাড় চলছে । বার বার সিলেটে আলোচনায় চলে আসেন শ্রমিক নেতা ফলিক । এবার মহানগর জামাত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও জামাত নেতা মাওলানা লোকমানকে নিয়ে সভা করলেন ফলিক । আলোচিত শ্রমিক নেতা ফলিক জামায়াত নেতাদের নিয়ে সভা করায় শ্রমিকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। এব্যপারে শ্রমিকলীগ নেতা সাজু তালুকদার বলেন, ফলিক সাহেব আওয়ামীলীগ এর নেতাদের নাম বিক্রি করে জামায়াত এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন এটা জলের মত পরিষ্কার । আওয়ামীলীগ নেতারা বুঝেনা। ফলিক হলেন সুবিধাবাদী ও পরিবহন সেক্টরে জামাতের পৃষ্ঠপোষক।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় , এ সভা পর থেকে শ্রমিকরা বলাবলি করছেন শ্রমিক নেতা ফলিক কখনো আ’লীগ, কখনো বিএনপি, কখনো জামাত, আসলে ফলিক তুমি কার ? সাপের মতো খোলস বদলিয়ে একেক সময় একেক দরজায় ধর্না দিয়ে চলছেন সেলিম আহমদ ফলিক ওরফে ধর্মঘট ফলিক। পরিবহন ধর্মঘট অহরহ ডেকে সমালোচিত হওয়ায় শ্রমিক মালিক সহ সুশীল সমাজের নিকট তিনি ধর্মঘট ফলিক নামে পরিচিত।
রাজনীতিকভাবে তিনি যে চরম সুবিধাভোগী তার প্রমান ইতিমধ্যে প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। গদি ঠেকাতে জেলা আ’লীগ সেক্রেটারী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে দেখা করে ফটোসেশন করেন, তারপর পুনরায় ফটোসেশন করেন বিএনপি নেতা সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে। কার দরজায় কখন যান ফলিক তা নিয়ে গুঞ্চন চলছিল ইতিমধ্যে। তার দলীয় পরিচয় নিয়ে রয়েছে ধুম্রজাল। নামের আগে লেখেন মুক্তিযুদ্ধা, সুবিধা নিতে চান আ’লীগ তথা সরকারের।
কিন্তু তার ব্যবসায়ী পার্টনার ও মাথার ছায়া জনৈক বিএনপি নেতা। সেই নেতার আদেশ নিষেধের উপর ভর করে কখনো শ্রমিকলীগ কে সন্ত্রাসী কখনো, যুবলীগকে বলেন চাঁদাবাজ বলে হুংকার দেন তিনি। তার ভয়ংকর এই উক্তি নিয়ে সমালোচনা ঝড় উঠে সর্বত্র। প্রশ্ন উঠে তার প্রকৃত রাজনীতিক পরিচয় নিয়ে। মুখোশের আড়ালে তিনি যে বিএনপি জামাতের প্রতিনিধি তা বাজারে রটে যায়। কিন্তু অবশেষ বাস্তব করলেন ধর্মঘট ফলিক, দু’পাশে জামাতের ২নেতাকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে।
একপাশে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী জামাত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অপরপাশে জামাত নেতা মা: লোকমান। নির্বাচনী মতবিনিময় নামক ব্যানার থাকলেও, প্রশ্ন শ্রমিকদের মধ্যে কোন টার্গেটে জামাত নিয়ে বৈঠক করলেন ধর্মঘট ফলিক।
শ্রমিকলীগ নেতা সাজু তালুকদার আরো বলেন, তার রাজনীতিক পরিচয় ও তার রাজনীতিক গুরুদের স্বার্থে শ্রমিকদের ব্যবহার করার জন্য এই বৈঠক করলেন, অতি উৎসাহী হয়ে। সেকারনে সাধারন শ্রমিকদের মধ্যে এখন আতংক, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা টার্মিনালে নাশকতা সহ জঙ্গি কোন ঘটনা ঘটে, এর দায় দায়িত্বের ভার কি ফলিক ঘাড়ে উঠবে না ? সরকারে রাজনীতি বিরোধীদের তিনি লালন পালন ও সমর্থন করে, নিজকে তাদের সহযোগী হিসাবে প্রমান করে নিলেন।
একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, কখনো চেতনা বিরোধীদের সহযোগী হতে পারে না। গোপনে যাই হোক, প্রকাশ্যে এরকম বৈঠক এই মুর্হতে সম্ভব নয়। কোন খুটির জোরে ফলিক তা করলেন, সেই বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনী যেন খতিয়ে দেখে। তা না হলে বাস টার্মিনাল সহ হাজার হাজার শ্রমিক- বাস মালিক ও এ খাতের তাদের বিনিয়োগে চরম ঝুকিতে পড়বে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে বির্তকিত একাধিক শর্ত পূরনের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ফলিকসহ তার সহযোগিতারা। এরই প্রেক্ষিতে প্রশাসন তাদের সাথে গত ৮ তারিখ বৈঠকে মিলিত হয়।
তাদের অযৌক্তিক দাবী ও শর্ত নিয়ে ওই বৈঠকে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন সাবেক মেয়র ও আ’লীগ নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। ওই বৈঠকে সুবিধা করতে না পেরে ভেতরে ভেতরে মনে কস্ট বেড়ে যায় ফলিক ও তার সহযোগিদের। তাই জামাতের সাথে বৈঠক করে নিজের স্বার্থগত দেন দরবার হয়তো চাঙ্গা করলেন ফলিক। এখন হয়তো আ’লীগ নেতাদের বলবেন, আমাকে সুবিধা দিলে, জামাতের সঙ্গ ছেড়ে তোমাদের ঘরে আসবো। দাবার ঘুটির মতো কোন চাল দিলেন ফলিক, তা এখন দেখার বিষয়।