কেপটাউন টেস্টে মাত্র ১৩০ রানে গুটিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। তাই জয়ের জন্য ভারতের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৮ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৮৬ রানের জবাবে ভারত করেছিল ২০৯ রান। সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যাট করছে ভারত।
এর আগে গতকাল রবিবার তৃতীয় দিনের খেলা ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টির জন্য। চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমেছিল দুই উইকেটে ৬৫ রান নিয়ে। ক্রিজে ছিলেন হাশিম আমলা (৪) ও কাগিসো রাবাদা (২)। আজ তার সঙ্গে এক রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরেন আমলা। দিনের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ সামির বলে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার সঙ্গী কাগিসো রবাদাও ফিরেন কিছুক্ষণ পরই। তাঁর রান ৫। তিনিও সামির শিকার।
সামির পর শুরু হয় জসপ্রিত বুমরার আঘাত। ফাফ ডু প্লেসিস ও কুইন্টন ডি কককে সাজঘরে পাঠালেন বুমরা। প্লেসিস রানের খাতাই খুলতে পারেননি, অন্যদিকে ককের রান ৮। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেন এ বি ডি ভিলিয়ার্স। আগের দিন ভারতের দুই ওপেনারকে ফিরিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডে। মাত্র ৯২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুকছিল প্রোটিয়ারা। শত রান পূরণ হওয়ার আগেই সাত নম্বর উইকেটটি আবার নিজের নামে লেখান সামি। তার বলে ফিলান্ডার কোনও রান না করেই এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন।
শেষ বেলায় বাজিমাত ভুবনেশ্বর কুমারের। মহারাজা ও মর্কেলকে প্যাভেলিয়নে ফেরান তিনি। মহারাজাকে ফেরালেন ১৫ রানে মর্কেলকে ২ রানে। বল হাতে অবশ্য শেষটা করে গেলেন বুমরা। দুরন্ত ক্যাচ ভুবনেশ্বরের। অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের জাত চিনিয়ে গেলেন বুমরা। নিলেন তিনটি উইকেট। সামির দখলেও থাকল তিনটি উইকেট। ভুবনেশ্বর ও হার্দিকের উইকেট দুটি করে।