রংপুর অফিস॥
রংপুরে জেলায় শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এখানে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও কোনোক্রমেই ঠান্ডা থামছে না। সকালে সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতজনিত কারণে ৩ দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জানায়, শনিবার র্সবনি¤œ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে তাপমাত্রা কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে বলেও জানান তিনি।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তীস্তা পাড়ের লাখো লাখো মানুষ।
তীব্র ঠান্ডায় সূর্য না উঠা পর্যন্ত অনেকেই প্রয়োজন ব্যাতীত ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
মানুষের সঙ্গে দুর্ভোগ পড়েছে প্রাণিকুলও। এর মধ্যে গৃহপালিত গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ নিয়ে এসব পশুর মালিক বিপাকে পড়েছেন। গৃহপালিত পশুর মালিকরা পশুর গায়ে চট বা ছেঁড়া কাঁথা জড়িয়ে দিয়ে পশুগুলোকে ঠান্ডার কবল থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।পশুর মালিক নিজের গৃহপালিত পশুকে সঙ্গে নিয়ে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার এক বাস্তব দৃশ্যপটও দেখা গেছে ঠান্ডা বিপর্যস্ত রংপুরে।
এখানে ঠান্ডা অব্যাহত থাকায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ৩ দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ।
শীতজনিত কারণে ৩ দিনে ৪ জনের মৃত্যু।এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১ নং খোড়াগাছ ইউনিয়নস্থ রূপসী গ্রামে।শীতজনিত কারনে গত ১০ জানুয়ারি কিসামত রসূলপুর গ্রামে পচার পূত্র জামিল (৪৮), ১১ জানুয়ারি আজগর আলী (৭৬), ১২ জানুয়ারি মুন্সিপাড়া গ্রামের ওসমানের স্ত্রী জরিনা (৫৫) ও নাপিতপাড়া গ্রামের কপিলউদ্দিনের পুত্র ইমদাদুল হক(৫৬) মৃত্যু ঘটে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
কাউনিয়ায় শৈত প্রবাহের কারণে প্রচন্ড ঠান্ডা ও কনকনে শীতে কুর্শা ইউনিয়নের গদাধর গ্রামে মৃত ইব্রাহিমের পুত্র নয়ামিয়া ওরফে লালমিয়া (৪৮) ও একই গ্রামের ইউছুব উদ্দিনের কন্যা রেজিয়া খাতুন (৫০) নামের ২ জনের গত শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায় জনান, গত শুক্রবার সকালে প্রচন্ড ঠান্ডায় নয়ামিয়া ওরফে লালমিয়া তার শ্বাসকষ্ট বেরে গেলে ডাক্তার আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। একই গ্রামের ডিম বিক্রেতা রেজিয়া খাতুন এরও শীতে শ্বাস কষ্ট বেরে গেলে গত শুত্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সরকার ডাক্তারের বরাত দিয়ে বলেন শীতের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কাউনিয়া শীতে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।