বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের চিতলমারীর সুরশাইল মঠের পাশে চিত্রা নদীর উপর প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতুর এক বছর পার হলেও এখনো দূর্য়োগ কাটেনি এলাকার মানূষের।এখনো দু’পাড়ের সংযোগ (এ্যাপ্রোচ) সড়ক নির্মান করা হয়নি। ফলে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ দু’পারের ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের প্রতিদিন পোহাতে হচ্ছে সিমাহীন দূর্ভোগ । অথচ বিল নিয়ে চলে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সুরশাইল মঠের পাশে চিত্রা নদীর উপর একটি সেতু নির্মিত হয়। ৩০ ফুট দৈর্ঘের এ সেতুর প্রাক্কলিত ব্যয় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯১৫ টাকা। এর চুড়ান্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রায় এক বছর আগে সেতুটি নির্মান করা হলেও এখনো পর্যন্ত এর দু’পাড়ের সংযোগ (এ্যাপ্রোচ) সড়ক নির্মান করা হয়নি বলে স্থানীয়া জানিয়েছেন। ফলে পার্শ্ববর্তী সুইরশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীসহ দু’পারের, কুরমুনি, সুরশাইল, পাটরপাড়া, সাবেখালী, দানোখালী, কাঠিপাড়া, পাঁচপাড়া, শ্যামপাড়া, দূর্গাপুর, ব্রক্ষ্মগাতি ও খড়মখালীসহ ১৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের প্রতিদিন চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় কতৃপক্ষের সহযেগিতায় দুপাড়ের সংযোগ সড়কের মাটি না দিয়েই বিল নিয়ে ভেগেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের ও কোন নজরদারি নেই। এ ব্যাপারে চিতলমারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ জানান, মোল্লাহাট উপজেলার হারুণ নামের এক ঠিকাদার সেতুটি করেছেন। তিনি বিলও নেনটি এবং সংযোগ সড়কের মাটিও দেননি। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ঢাকায় থাকায় সংযোগ সড়ক কাজ দেরীতে হচ্ছে। অথচ সেতুটির নি¤œান ফলকে মো, জিয়াউল হক গোপালগঞ্জ বলে এক ঠিকাদারের নাম থাকলেও ওই ঠিকাদারের কোন ঠিকানা কোন প্রতিষ্ঠান তা পাওয়া যায় নাই ।##