বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
বাগেরহাটের মোংলায় নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নেতা কর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন । সরকার উৎখাতে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে মোংলার পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক এবং যুবদলের ৪ নেতা-কর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ১০/ ১৫ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোংলা থানার এসআই গৌতম হালদার বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে এ মামলাকে কেন্দ্র করে মোংলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। অবশ্য বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিএনপি’র নেতা কর্মীদের হয়রানী করতে উদ্দেশ্য মুলক সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা দিয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোংলা পুলিশ জানায়, গত ১৩ জানুয়ারী রাতে মোংলা পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডস্থ কেওড়াতলার মোংলা টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজের বারান্দায় ২০ দল সমর্থিত বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নাশকতামুলক কর্মকান্ড ও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে গোপন বৈঠক করছিল। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে বৈঠককারীরা লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এতে বিএনপি’র মোংলা পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক, ছাত্রদলের মোংলা থানা সাধারণ সম্পাদক মো. কাশেম, যুবদল নেতা মো. বাপ্পা ও ফয়সাল আহম্মদসহ আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে এ মামলাকে মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমুলক দাবি করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম পৃথক বিবৃতি প্রদাণ করেছেন। বিবৃতিতে এঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মোংলা ও রামপালে বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মীদের হয়রানী করার জন্য উদ্দেশ্য মুলক মিথ্যা মামলায় প্রতিনিয়ত আটক করা হচ্ছে। আগামি সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে মোংলায় সাজানো এই নাশকতার মামলা করা হয়েছে। আগামীতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে এই মামলায় আটক দেখিয়ে জেলে ঢুকানোর পায়তারা করছে। এ ধরণের মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবাণ জানাচ্ছি।