রাবি:
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসিমা জামান।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের কাছে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান এবং বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রুহুল আমিন পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রোববার দুপুরে অধ্যাপক নাসিমা জাহান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তবে তিনি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, ওই বিভাগের সভাপতি মূলত আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করলে বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়।
এর আগে বিভাগের শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৫তম সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য তাকে পদত্যাগের জন্য অনুরোধ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে বিভাগের শিক্ষকদের একাংশ সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে বিভাগের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে অধ্যাপক নাসিমা জামানকে সেমিনার কক্ষে আবদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিভাগের ১১ জন শিক্ষক তার অধীনে পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সেশন জটের শঙ্কায় অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।
পরে বেলা দেড়টার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের বিষয় নিশ্চিত করলে তারা আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসিমা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৭ জুলাই সভাপতি নাসিমার কাছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে বিভাগের শিক্ষকদের নামে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ করেন বিভাগের ১১ শিক্ষক। এরপর রুখসানা পারভীন সভাপতির উপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের কাছে ওই ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন।