বাংলাদেশকে ঢালাওভাবে বিরোধী দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করতে বললো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেয়া উচিত বাংলাদেশের সরকারের।
বৃহস্পতিবার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রায়ের আগে সারাদেশে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে এতিমদের জন্য পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এশিয়ার পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, বিরোধী দলকে আন্দোলনে বাধা দিয়ে মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অধিকার খর্ব করছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি আরো বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই তাদের সমর্থকদের সহিংসতায় না জড়াতে সতর্ক করা উচিৎ। একইসঙ্গে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ধৈর্যশীল থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এর আগে বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় অগ্নিকাণ্ড, হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী বিরোধী দলের সমর্থকদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে। শতাধিক ব্যক্তিকে গুম করারও অভিযোগ আনা হয় নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে গত আটদিনে সারাদেশে ১৭৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রায়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সহিংসতা ছড়াতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। শক্তি ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে জাতিসংঘের মৌলিক আইন মেনে চলার জন্য নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীকে সুষ্ঠ নির্দেশনা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে। বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের দাবীকে বিতর্কিত করছে বলে মনে করেন ব্র্যাড অ্যাডামস। বিবিসি।