বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধে আকষ্মিক অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দু’টি বিড়ি কারখানার  নগদ অর্থদন্ড করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন আল ফারুক। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব শিশুশ্রম দিবসে অভিযান চালিয়ে উপজেলার নগরকান্দি সোনালী বিড়ি কারখানা ও জিড়েনতলা আকিজ বিড়ি কারখানায় শিশু শ্রমিক পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা করে দুটি কারখানার মোট দশ হাজার টাকা নগদ অর্থদন্ড দেয়া হয়। উপজেলা নির্বহী অফিসার মামুন আল ফারুক বলেন, বিশ্ব শিশুশ্রম দিবসে অভিযান চালিয়ে ওই দু’টি কারখানায় শিশুশ্রমিক পান। যে কারণে কারখানা দু’টির পাঁচ হাজার টাকা করে মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ কঠোর সতর্কতাদেশ দেয়া হয়। সরেজমিনে সোনালী বিড়ি কারখানায় গিয়ে দেখাযায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পরও শিশুশ্রমিক দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১৭/১৮ বছর বয়সী এক নারী শ্রমিক রয়েছেন, সঙ্গে তার দু’টি শিশু ছেলে. তিন বছর বয়সী একটি শিশু মায়ের পাশে তামাকের ফাকে শুয়ে আছে এবং দুই বছর বয়সী অপর শিশুটি মায়ের পায়ে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে, এমতাবস্থায় শ্রমিকের কাজে ব্যাস্ত ওই মা। এধরণের অমানবিক ও ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রমসহ সকল অনিয়মই যেন সোনালী বিড়ি কারখানায় নিয়মে রূপ নিয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক ও সুধী বৃন্দ বলেন, সোনালী বিড়ি কারখানার বিরুদ্ধে সরকারী ডাক ঘরের জমি আতœসাতসহ শিশুশ্রমিক দিয়ে ঝুকিপূর্ণ কাজ করানোর অভিযোগ অনেক পুরোনো।
সোনালী বিড়ি কারখানার ম্যানেজার কৃষ্ণ কুমার দে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোশতাক আহমেদ বলেন, তাদের কারখানায় কোন শিশুশ্রমিক নাই, কেবল ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমি পড়া-শোনার পাশা-পাশি তার মাকে সহযোগীতার জন্য কাজ করে এবং প্রতিবন্ধি রাজীব শিশু হলেও তাকে মানবিক কারণে কাজের সুযোগ দিয়েছেন তারা। আকিজ বিড়ি কারখানার তত্বাবধায়ক মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন মোল্লা বলেন, তাদের তালিকাভুক্ত কোন শিশুশ্রমিক নাই, তবে মা-বাবাসহ বয়সী শ্রমিকদের খাবার দিতে অনেক সময় শিশুরা প্রবেশ করে। যেহেতু ইউএনও স্যার নিষেধ করছেন, সেহেতু শিশুদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।##

Share Button