সারাদেশ | তারিখঃ জুলাই ৩, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 253 বার

তানোর প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরে বর্ষা মৌসুম শুরুতেই মাত্র কয়েক দিনের বর্ষণে (অভ্যন্তরীণ) অধিকাংশ সড়ক বিপর্যস্ত ও যান চলাচলে প্রায় অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে এসব সড়ক সংস্কার না করায় আবার কিছু সংস্কার করা হলেও নিম্নমাণের কারণে অল্প দিনেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব সড়কে চলাচল করতে গিয়ে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অধিকাংশ সড়কে জলাধার, খানাখন্দে ভরা গর্ত, ইটের সুরকি দিয়ে গর্ত ভরাট, পিচ ছাড়া ও পিচ উঠে যাওয়ায় বেহাল অবস্থায় দৃশ্যমান এমনকি কোথাও কোথাও দেখে বোঝার উপায় নাই এসব সড়ক এক সময় পাকা করা হয়েছিল। অধিকাংশক্ষেত্রে সড়কগুলো এখন না পাকা না কাঁচা এই অবস্থায় রয়েছে। ফলে এসব সড়ক এখন সাধারণের কাছে উন্নয়নের দুর্ভোগ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশেষ করে তানোর-চৌবাড়িয়া সড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার, আজিজপুর-ভালকুকান্দর প্রায় ৬ কিলোমিটার, মুন্ডুমালা-আমনূরা প্রায় ৮ কিলোমিটার,পাচন্দর-ইলামদহী ৮ কিলোটিার, আইড়্যা-বিল্লী প্রায় ১৫ কিলোমিটার, মুন্ডুমালা-জৈটাবটতলা প্রায় ১২ কিলোমিটার, উচাডাঙ্গা-গোয়ালপাড়া প্রায় ৫ কিলোমিটার, জুমারপাড়া-ঝিনাখৈর প্রায় ৩ কিলোমিটার, দেবীপুর-নারায়নপুর প্রায় ৫ কিলোমিটার, দেবীপুর-মোহর-সরণজাই প্রায় ৫ কিলোমিটার ও তালন্দ-ইলামদহী প্রায় ৮ কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া তানোর-আমনুরা ও তানোর-রাজশাহী সড়কের বাগধানী, দুয়ারী,লবন্যাতলা, দেবীপুর, কাউন্সিল মোড় এলাকায় ২টি সেতু ও ৫টি কালভ্রাট (অপ্রশস্ত) ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে প্রশস্ত রাস্তায় সরু কালভ্রাট দুর্ঢ়টনার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোরে পাকা সড়ক রয়েছে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার এর মধ্যে উপজেলা সড়ক প্রায় ১৬০ কিলোমিটার, ইউনিয়ন সড়ক প্রায় ৩৭ কিলোমিটার, গ্রামীণ-এ সড়ক ৩৪ কিলোমিটার, গ্রামীণ-বি সড়ক ৬ কিলোমিটার এবং বিএমডিএ’র প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা, যান চলাচলের প্রায় অযোগ্য কোথাও ফাটল ধরেছে, কোথাও পিচ উঠে মাটি বের হয়েছে, দেখে বোঝার উপায় নেই যে সড়কগুলো এক সময় পাকা ছিল।
জানা গেছে, তানোরে বিগত ১৯৯০ দশকে বিএনপি সরকারের সময়ে সময়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক পরিকল্পনা গ্রহণ ও ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়। কিন্তু তার পর সড়ক পরিকল্পনায় তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি, তেমন কোনো নতুন সড়ক বা সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ওই সময়ে যেসব সড়ক উন্নয়ন ও পাকাকরণ করা হয়েছিল সেগুলোর অধিকাংশ সড়কেরই এখন চরম বেহাল দশা। উপজেলাবাসী দ্রুত এসব সড়ক ও সেতু-কালভ্রাট সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জনগণের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
Leave a Reply